এসব ঘটনার পাশাপাশি কয়েকশ ঘরবাড়িও ধ্বংস হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা বিএনপিবি-র মুখপাত্র সুতোপো পুরও নুগ্রহো জানিয়েছেন, উত্তর ও পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশ দুটির পাঁচশরও বেশি ঘরবাড়ি বন্যায় ডুবে গেছে অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এগুলোর মধ্যে কিছু ঘরবাড়ি বন্যার পানির ঢলের সঙ্গে ভেসে গেছে।
পানির ঢলে তিনটি সাসপেনশন ব্রিজও ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এক সংবাদ সম্মেলনে নুগ্রহো বলেছেন, “লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পর্বতের ওপরে আর সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন।”
“হতাহতরা প্রবল কাদার স্রোত ও ধসে পড়া দেয়ালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে,” বলেছেন নুগ্রহো।
ঘটনার সময় শ্রেণিকক্ষটিতে ২৯ জন শিক্ষার্থী ছিল, এদের মধ্যে একজনকে ছাড়া বাকিদের খুঁজে পাওয়া গেছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ইরসান সিনুহাজি।
উদ্ধারকারীরা নিখোঁজ ওই ছাত্রের খোঁজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গ্রামটির আরও কেউ নিখোঁজ হয়েছেন কি না কর্তৃপক্ষগুলো তা যাচাই করে দেখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওই নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া একটি গাড়ির দুই আরোহীকে শনিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
উত্তর সুমাত্রার সিবোলগা শহরে ভূমিধসে চার জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে পশ্চিম সুমাত্রায় আকস্মিক বন্যায় দুটি শিশুসহ আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে।