গণহত্যায় সায় থাকলে এখানে আপনার স্থান নেই: সু চি’কে কানাডা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে দেওয়া সম্মানসূচক নাগরিকত্ব সিনেটের ভোটে আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছে কানাডা।

>>রয়টার্স
Published : 3 Oct 2018, 01:17 PM
Updated : 3 Oct 2018, 01:59 PM

গণহত্যায় সহায়ক ভূমিকা থাকলে তাকে যে স্বাগত জানানো হবে না কানাডাসহ গোটা বিশ্বকে সে বার্তা দিতেই এ পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন সিনেটর রত্না অমিদবর।

সু চির নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাবটি মঙ্গলবার তিনিই উত্থাপন করেন। সিনেটে সর্বসম্মত ভোটে বাতিল হয় সু চিকে দেওয়া কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব। যে সম্মান তিনি পেয়েছিলেন ২০০৭ সালে।

সু চিসহ বিদেশি ছয়জন দেশটির এ নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। এর মধ্যে প্রথম সু চির নাগরিকত্বই কেড়ে নেওয়া হল।

পার্লামেন্টের দুই কক্ষের যৌথ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দেওয়া এ নাগরিকত্ব বাতিলও করা হয়েছে একই প্রক্রিয়ায়।

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে সু চি’র ব্যর্থতার জন্য গত সপ্তাহে কানাডার হাউস অব কমন্সে তার নাগরিকত্ব বাতিলের প্রস্তাব পাস হয়। এরপর উচ্চকক্ষ সিনেটেও তা পাস হল।

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন গত সপ্তাহে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়নের প্রতিবেদন দিয়েছে এবং গণহত্যার জন্য দেশটির শীর্ষ জেনারেলদের বিচার করা এবং তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

কানাডার হাউস অব কমন্স এবং সিনেটও রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়েছে। সিনেটর রত্না অমিদবর বলেছেন, “নৃশংসতার ধরণ যেমন আমাদেরকে সেভাবেই একে স্বীকার করে নিতে হবে। এটি গণহত্যা। আমাদেরকে সেটিই বলতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য লড়াইয়ের কারণে সু চি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। ওই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি পরিবর্তন এবং মানবাধিকারের পথে আশার আলো জাগানোর পথিকৃত ছিলেন। কিন্তু এখন আমরা যা জানি তাতে তেমনটি হয়নি। সু চি নৃশংসতার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন, সামরিক বাহিনীর সাফাই গেয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ত্রাণে বাধা দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক তদন্তকারী এবং সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি করেছেন।”

“আর এ কারণেই এখন কানাডা এবং বাদবাকী বিশ্বকে আমাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে, গণহত্যায় আপনার সহায়ক ভূমিকা থেকে থাকলে, এখানে আপনাকে স্বাগত জানানো হবে না। কানাডার সম্মানীয় নাগরিক হিসাবে তো নয়ই।”