গাজা সীমান্তে ফের ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৭

গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের সাপ্তাহিক বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১২ ও ১৪ বছর বয়সী দুই ছেলেসহ ৭জন নিহত হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2018, 06:02 AM
Updated : 29 Sept 2018, 06:02 AM

শুক্রবারের এ বিক্ষোভে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি অংশ নেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

১৯৪৮ সালে শরণার্থী হওয়া লাখ লাখ মানুষকে ইসরায়েলের দখলে থাকা এলাকায় ফিরতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে মার্চ থেকেই হামাসসহ বেশ কয়েকটি দল ও গোষ্ঠী এ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল।

শুরুর দিন হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ৩০ মার্চকে; ১৯৭৬ সালের এই দিনে ভূমি দখলের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ছয় বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিলেন।

ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠিকতার সময় এ ‘মার্চ অব রিটার্ন’ তুঙ্গে ওঠেছিল। বিক্ষোভের পাল্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে কেবল ১৪ মে-তেই ৬০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছিলেন।

এরপর থেকে সহিংসতার পরিমাণ কমে এলেও বিক্ষিপ্তভাবে বিক্ষোভ চলছে, অব্যাহত আছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলি ও বিমান হামলাও।

ছয় মাস ধরে চলা এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

বিক্ষোভ থামাতে ইসরায়েলের আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার আন্তর্জাতিক বিশ্বে সমালোচিত হলেও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের উপর পশ্চিমা দেশগুলোকে তেমন কোনো চাপ প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না।

শুক্রবার ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে গুলি ও বিমান হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছে তেল আবিব। বিক্ষোভকারীরা সীমান্তবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করলে এবং ইসরায়েলি সেনাদের দিকে বিস্ফোরক ও পাথর ছুড়লে পাল্টা এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়, বলছে তারা।

এদিনের বিক্ষোভে পাঁচ শতাধিক আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৮৯ জনই গুলিতে, জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

নিহতদের মধ্যে ১২ ও ১৪ বছর বয়সী দুটি ছেলে আছে বলেও নিশ্চিত করেছেন তারা।

হামাস বলছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সর্বশেষ বিদ্রোহের ১৮তম বার্ষিকীর কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে শুক্রবারের বিক্ষোভ।

ছয় মাস ধরে চলা এ বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।

ঘুড়ি ও বেলুনের সাহায্যে আগুন লাগিয়ে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি ভূখণ্ডের ভেতরকার বন ও কৃষিজমিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ তেল আবিবের।  

সীমান্তে সহিংসতা উসকে দেওয়ার জন্য হামাসকে দায়ী করলেও শুরু থেকেই তারা ইসরায়েলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।