মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে এক মন্তব্যে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ইরানিরা তাদের “কথার সুর না পাল্টানো” পর্যন্ত তিনি তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন না।
ট্রাম্প এবং রুহানি দুইজনই জাতিসংঘ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
ট্রাম্প বলেন, “ইরান খুব বাজে আচরণ করেছে। আমরা ইরানের সঙ্গে খুব ভালো একটি সম্পর্ক গড়ার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু সেটি এখন হবে না।”
কয়েক দশকের শত্রু দেশ ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত মে থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে। ওই সময় ট্রাম্প ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে করা ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন।
আগের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে করা ওই চুক্তির বদৌলতে ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি হ্রাস করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে অনেকাংশে রেহাই পেয়েছিল।
ট্রাম্প ওই চুক্তি বাদ দিয়ে আবার ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ফিরিয়ে আনেন। নতুন আরেকটি চুক্তি করার জন্য তিনি কোনো পূর্বশর্ত ছাড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানির সঙ্গে আলোচনায়ও বসতে চেয়েছিলেন।
গত রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক মম্পেও ফের ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে এ প্রস্তাব দেন।
কিন্তু সোমবার রুহানি জানান, ট্রাম্প ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে না এলে তেহরান আলোচনায় যাবে না। মঙ্গলবার খামেনিসহ ইরানের শীর্ষ উপদেষ্টারাও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপরই এদিন ট্রাম্প টুইটারে একটি পোস্টে লেখেন, “অনুরোধের সত্ত্বেও, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠক করার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই। ভবিষ্যতে হয়ত কখনো হবে। আমি নিশ্চিত যে তিনি আগাগোড়াই একজন চমৎকার মানুষ।”
ইরানের জাতিসংঘ মিশনের মুখপাত্র আলিরেজা মীরইউসেফি বলেছেন, ইরান মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো বৈঠকে বসার অনুরোধ জানায়নি।