রাজধানী লিসবনের কাছে কাসকাইস উপকূলে খুঁজে পাওয়া এ জাহাজের ধ্বংসস্তুপের চারপাশে মসলা, সিরামিকের তৈজসপত্র, কামান এবং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র পাওয়া গেছে।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিশ্বাস, ১৫৭৫ থেকে ১৬২৫ সালের মধ্যে ভারত থেকে ফেরার সময় জাহাজটি কোনো কারণে ডুবে যায়।
ওই সময়ে পর্তুগাল থেকে মসলার সবচেয়ে বেশি চালান এশিয়ায় যেত।
কাসকাইস শহর, পর্তুগাল সরকার, নৌবাহিনী এবং লিসবনের নোভা ইউনিভার্সিটির সহায়তায় ১০ বছর মেয়াদের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক প্রকল্পের অধীনে জাহাজটি উদ্ধারের কাজ চলছে।
প্রকল্প পরিচালক জর্জ ফ্রেইরি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সমুদ্রের ৪০ ফুট গভীরে জাহাজটি খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, “ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি দশকের সেরা আবিষ্কার এবং এ দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলোর অন্যতম।”
ধ্বংসাবশেষে চীনের তৈরি সিরামিকের যেসব তৈজসপত্র পাওয়া গেছে সেগুলো ষোড়শ শতাব্দীর শেষ বা সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তৈরি। এছাড়া, তামার তৈরি কামানের টুকরা এবং দাস কেনাবেচায় ব্যবহৃত মুদ্রা পাওয়া গেছে।
কাসকাইস পৌর কাউন্সিল জানায়, সেপ্টেম্বরের শুরুতে টাগুস নদীর মোহনায় ড্রেজিং করার সময় জাহাজের ওই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়।
পর্তুগালের সাংস্কৃতিক মন্ত্রী লুই মেনদেস বলেন, টাগুস নদীর মোহনাকে ধ্বংসাবশেষের ‘খনি’ বলে বিবেচনা করা হয়।
“এ আবিষ্কার সেই বিশ্বাসকেই সত্য প্রতিপন্ন করেছে।”