৪৯ দিন সাগরে ভেসে থেকেও বেঁচে ফিরল তরুণ

কুঁড়েঘরের মত দেখতে মাছ ধরার ভেলাটি ঝড়ো বাতাসে সমুদ্রে ভেসে যাওয়ার সময় আলদি নভেল আদিলাং তাতে একাই ছিলেন। ৪৯ দিন পর ইন্দোনেশিয়ার এ তরুণকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2018, 02:47 PM
Updated : 24 Sept 2018, 03:35 PM

সমুদ্রে এতগুলো দিন নোনা পানি পান করে আর মাছ পুড়িয়ে খেয়ে বেঁচে ছিলেন ১৯ বছরের আলদি।

স্থানীয় ভাষায় ‘রমপং’ নামে পরিচিত মাছ ধরার ওই ভেলা ইন্দোনেশিয়ার উপকূল থেকে সমুদ্রের ১২৫ কিলোমিটার গভীরে বাঁধা ছিল।

ইন্দোনেশিয়ায় গভীর সাগরে নোঙর করে কাঠের তৈরি এমন ভেলায় বাতি জ্বালিয়ে রাতে মাছ ধরার চল আছে। ওই আলোতে আকৃষ্ট হয়ে মাছ ফাঁদে ধরা পড়ে।

সুলাবেসি দ্বীপের বাসিন্দা আলদির কাজ ছিল ‘রমপং’ এ আলো জ্বালানো। গত ১৪ জুলাই ঝড়ো বাতাসে দড়ি ছিঁড়ে ভেলাটি সমুদ্রে ভেসে যায়। এতে ছিল না কোনো ইঞ্জিন কিংবা প্যাডেল।

রমপংয়ে ভাসতে ভাসতে কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গুয়ামের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন আলদি। সেখান থেকে পানামার একটি জাহাজ তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বলে জানায় বিবিসি।

আলদির রমপংটি সমুদ্রে ভেসে যাওয়ার সময় তার কাছে সামান্য খাবারই ছিল। তাই তিনি ফাঁদে আটকা পড়া মাছ ধরে কাঠের আগুনে তা পুড়িয়ে খেয়েছেন।

জাপানে ইন্দোনেশিয়ার এক কূটনীতিক বলেন, “মৃত্যুভয়ে ভীত আলদি বেশির ভাগ সময় কান্নাকাটি করতেন। এই ৪৯ দিনে তিনি ১০টির বেশি জাহাজ যেতে দেখেছেন। কিন্তু কেউ তাকে দেখতে পায়নি বা উদ্ধারও করেনি।”

গত ৩১ অগাস্ট জাপানগামী পানামার একটি জাহাজ তাকে উদ্ধার করে এবং গুয়াম কোস্ট গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা আলদিকে জাপান নিয়ে যেতে বলে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর আলদি জাপান পৌঁছান এবং দুই দিন পর উড়োজাহাজে করে ইন্দোনেশিয়ায় যান। বর্তমানে তিনি তার পরিবারের সঙ্গেই আছেন।