বিবিসি জানায়, ডেবরাহ রমিরেজ নামের ওই নারী ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাভানোর সহপাঠী ছিলেন।
নিউ ইয়র্কার সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের ডর্মিটরিতে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ক্যাভানো তার জননাঙ্গ দেখিয়েছিলেন।
তবে ব্রেট ক্যাভানো এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার চরিত্র কলঙ্কিত করা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্ল্যাসি ফোর্ড বিচারক ব্রেট ক্যাভানোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে তার সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
তার ওই অভিযোগের পরই নতুন অভিযোগ নিয়ে সামনে এলেন ডেবরাহ রমিরেজ। তিনি বলেন, ১৯৮৩-৮৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি ও ক্যাভানো সবেমাত্র ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময়টিতেই যৌন অসদাচরণের ওই ঘটনা ঘটে।
রমিরেজ বলেন, ডরমিটরির একটি পার্টিতে তারা দুইজনই যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে আনন্দ ফুর্তি, মদ, মাস্তি চলার মাঝে একটা সময়ে একজন তার দিকে ইঙ্গিত করে প্লাস্টিকের পুরুষাঙ্গ দেখায়। আর তারপরই আরেকজন সরাসরি নিজেরটা দেখায়।
ক্যাভানো তার ডানপাশে দাঁড়িয়ে হাসছিলেন এবং প্যান্ট টেনে তুলছিলেন- সেকথা মনে আছে বলেও জানান রমিরেজ।
তবে এক বিবৃতিতে রমিরেজের এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন ব্রেট ক্যাভানো।
তিনি বলেন, “৩৫ বছর আগে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তখন যারা আমাকে চিনতেন তারা বলতে পারবেন যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।”
হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেছেন, প্রশাসন ব্রেট ক্যাভানোর পক্ষে আছে। সর্বশেষ ওঠা অভিযোগটি একজন ভালো মানুষকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ডেমোক্র্যাটদেরই কারসাজি।
বিচারক ব্রেট ক্যাভানোকে সুপ্রিম কোর্টের নবম বিচারপতি হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ পেতে হলে সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটির অনুমোদনসহ গোটা সিনেটেই অনুমোদন পেতে হবে।
এ প্রক্রিয়ায় সেপ্টেম্বরে সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটিতে কাভানার শুনানি চলছে এবং অক্টোবরের শুরুর দিকে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস্টিন ব্ল্যাসি ফোর্ডের প্রথম যৌন হয়রানির অভিযোগের পর তাকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে গত ৩১ জুলাইয়ে বিচারপতি এন্থনি কেনেডি অবসরে যাওয়ার পর তার শূন্য পদের জন্য ব্রেট ক্যাভানোকে বেছে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।