শনিবার ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় আহভাজ শহরে সামরিক কুচকাওয়াজে হামলা চালায় চার বন্দুকধারী, এতে নিহতদের মধ্যে একটি শিশুসহ ইরানের প্রভাবশালী রেভল্যুশনারী গার্ড বাহিনীর ১২ সদস্য রয়েছে।
পরে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিরোধে ওই চার হামলাকারীও নিহত হয়।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও ইরানের সরকারবিরোধী আরব গোষ্ঠী আহভাজ ন্যাশনাল রেজিসট্যান্স পৃথকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেছে।
কিন্তু এ হামলার জন্য ‘পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো ও তাদের মার্কিন প্রভুদের’ দায়ী করেছে ইরান।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ‘মস্তান’ যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মদতপুষ্ট উপসাগরীয় দেশগুলো হামলায় সমর্থন যুগিয়েছে।
হামলার দায় অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা ‘যে কোনো সন্ত্রাসী হামলার’ নিন্দা জানায়।
জাতিসংঘের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, হাসান রুহানি ‘তার জনগণকে দীর্ঘদিন ধরে দমন করে রেখেছে’।
সিএনএনকে তিনি বলেন, “তিনি (রুহানি) ইরানিদের প্রতিবাদ মুখে পড়েছেন। ইরানে প্রবেশ করা প্রতি আউন্স অর্থ তার সামরিক বাহিনীতে যায়, দীর্ঘদিন ধরে নিজের জনগণকে দমন করে রেখেছেন তিনি। ওইসব (হামলা)কোথা থেকে আসে তা বের করতে নিজের ভিত্তির দিকে তাকানো দরকার তার।
“তিনি চানতো আমাদের দোষারোপ করতে পারেন, কিন্তু তার উচিত আয়নায় তাকানো।”
পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও ইরানি অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।
চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রুহানির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেখা হওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে তেহরান ছেড়ে যাওয়ার আগে রুহানি বলেছেন, “এই অপরাধ কারা করেছে এবং তাদের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ আছে তা আমাদের কাছে একেবারে পরিষ্কার। এই হামলার ঘটনাকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
উপসাগরীয় দেশগুলো হামলাকারীদের ‘প্রয়োজনীয় আর্থিক, অস্ত্র ও রাজনৈতিক’ সমর্থন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
কথিত উপসাগরীয় দেশগুলোর নাম না করলেও রুহানি ইরানের আঞ্চলিক শত্রু সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও বাহরাইনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।