পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে ২০০৬ সাল থেকে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র পিয়ংইয়ংয়ের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় কোনো দেশ উত্তর কোরিয়ায় তেল বিক্রি বা সরবরাহ করতে পারবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে বারবার ওই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে। জাতিসংঘের সদস্য কয়েকটি রাষ্ট্র ওই কাজে তাদের সাহায্য করছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট বলেন, “উত্তর কোরিয়ার অবৈধ কার্যক্রমে সাহায্য করা কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা জাহাজ কোম্পানির উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র দুইবার ভাববে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, কয়েকটি দেশ বিশেষ করে রাশিয়ার জাহাজ সমুদ্রেই উত্তর কোরিয়ার জাহাজে তেল স্থানান্তর করে।
‘উত্তর কোরিয়ার উপর আরোপ করা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রাশিয়া বিস্তৃত আকারে লঙ্ঘন করছে এবং ওয়াশিংটনের হাতে এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে’ বলে সোমবার দাবি করেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি।
তিনি বলেন, রাশিয়া সমুদ্রে অবৈধভাবে তেল পরিবহনে উত্তর কোরিয়াকে সাহায্য করে। গত বছর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কালো তালিকাভূক্ত করা উত্তর কোরিয়ার এক ব্যক্তিকে বিতাড়ন করতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া।
তবে রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, হ্যালি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন।