ওয়াশিংটন যতই চাপ দিক না কেন, তেহরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি কোনো অবস্থাতেই বাতিল করবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইরাকের সঙ্গে ১৯৮০-৮৮ পর্যন্ত চলা যুদ্ধের স্মরণে রাজধানী তেহরান ও বন্দর আব্বাসে নৌবাহিনীর কুচকাওয়াজ ও মহড়ার মধ্যেই শনিবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেয়া ভাষণে রুহানি এসব বলেন, জানিয়েছে রয়টার্স।
“ট্রাম্পেরও একই অবস্থা হবে। আমেরিকা সেই পরিণতিই বরণ করবে, সাদ্দাম হোসেনের ভাগ্যে যা হয়েছিল। ইরান তার প্রতিরক্ষা অস্ত্র ছাড়বে না, যার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রও আছে, যেগুলো আমেরিকাকে ক্রুদ্ধ করে,” রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
চলতি বছরের মে মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। গত মাসে ট্রাম্প ইসলামিক এ প্রজাতন্ত্রের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞার পথেও এগুচ্ছে; যদিও তেহরান বলেছে, তেমনটা হলে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর তেল রপ্তানিও আটকে দেবে।
শনিবার উপসাগরে ইরানের নৌ মহড়ায় প্রায় ৬০০ নৌযান অংশ নিয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। আগের দিন তারা সমুদ্রে বিমান মহড়াও করেছে।
তেল রপ্তানির পথ নির্বিঘ্ন রাখতে উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বহর অনেক দিন ধরেই ক্রিয়াশীল।
যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতের পথ খুলে যেতে পারে বলে শঙ্কা পর্যবেক্ষকদের।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তেহরান যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তিদের সামরিক তৎপরতার পাল্টায় নিজেদের শক্তিমত্তার প্রদর্শনী করছে। শত্রুদের ‘দাঁতভাঙা জবাব’ দিতে ইরানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে তারা।