তাইওয়ানের দোকান মুছল ‘স্বস্তিকা’ চিহ্ন

দোকানের লোগোর সঙ্গে নাৎসিদের ‘স্বস্তিকা’ চিহ্নের মিল নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া তাইওয়ানের একটি সেলুন রাস্তার পাশে লাগানো তাদের দুটি স্ট্রিট সাইন মুছে দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2018, 08:09 AM
Updated : 21 Sept 2018, 08:09 AM

ম্যাজিক মার্কার দিয়ে লোগোগুলো মোছার পর এখন কেবল দোকানের নামটিই পড়া যাচ্ছে, জানিয়েছে তাইওয়াননিউজ ডটকম।

বিবিসি বলছে, উত্তরাঞ্চলীয় হসিনচু শহরের বার্লিন হেয়ার সেলুনের লোগো নিয়ে সপ্তাহখানেক ধরেই সরগরম পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি।

তাইওয়ানে বাস করা ইহুদি ও জার্মানদের তীব্র সমালোচনা ও শত শত নেতিবাচক মন্তব্যের পর সেলুনটি তাদের ফেসবুক লোগোও বদলে ফেলেছে।

দোকানটির মালিক হসু চেন-ইয়াং প্রথমদিকে লোগোটির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, স্বস্তিকা নয়, লোগোটি মূলত রেজারের চারটি ব্লেডকে বুঝিয়েছে। 

সেলুনটির লোগো বাইরের একজন নকশাকার করেছিলেন, এর সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কিংবা ইতিহাসের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।

পরে বুধবার সম্প্রচারমাধ্যম ইবিসিকে তিনি জানান, লোকজন দোকানের সামনের অংশে প্রস্রাব ও মলত্যাগ করার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেকাতে বাধ্য হয়েই লোগো বদলানোর পথে হাঁটতে হচ্ছে তাকে। নতুন একজন নকশাকারকে লোগো বানাতে বলেছেন বলেও জানান চেন-ইয়াং।

বার্লিন হেয়ার সেলুনের লোগো নিয়ে তাইপের জার্মান ইনস্টিটিউটও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তাইওয়ানে জার্মানির আনুষ্ঠানিক দূতাবাস নেই, তাইপের এ ইনস্টিটিউটই দূতাবাসের দায়িত্ব পালন করে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জার্মান ইনস্টিটিউট জানায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নাৎসিদের প্রতীক ব্যবহার করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যার শিকার মানুষদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।

দোকানটির মালিককে অবিলম্বে এসব নাৎসি চিহ্ন সরিয়ে ফেলারও আহ্বান জানায় তারা।

তাইপের ইহুদি সেন্টারও চিহ্নগুলো মুছে ফেলার অনুরোধ জানায়।

তাইওয়ানের গণমাধ্যম সেলুনের ঘটনাটির সঙ্গে দুই বছর আগে শহরটির স্কুলে সংঘটিত অন্য একটি ঘটনার সাদৃশ্যও তুলে ধরে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে হসিনচুর একটি স্কুল বড়দিনের শোভাযাত্রায় প্রতীকি নাৎসি সমাবেশ করলে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় পরে ওই ঘটনার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে, স্কুলটির প্রধান শিক্ষককেও পদত্যাগ করতে হয়।