ফিলিপিন্সে ভূমিধসে নিহত ২২, মোবাইল বার্তায় বাঁচানোর আকুতি

ফিলিপিন্সের চেবু প্রদেশে ভূমিধসে দুইটি পাহাড়ি গ্রাম সম্পূর্ণ চাপা পড়ে অন্তত ২২ জন প্রাণ হারিয়েছে। এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2018, 07:36 AM
Updated : 21 Sept 2018, 07:36 AM

ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া কয়েকজন মোবাইল ফোন থেকে বার্তা পাঠিয়ে তাদের বাঁচানোর আকুতি জানিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার চেবুর নাগা অঞ্চলে পাহাড়ধসে দুইটি গ্রামের ২০টির বেশি বাড়ি চাপা পড়ে।

গত সপ্তাহে এ বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মাংখুট ফিলিপিন্সের উত্তর উপকূলে তাণ্ডব চালায়। ঝড়ে ৮০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

যদিও চেবু প্রদেশে ঝড় সরাসরি আঘাত হানেনি। তবে ঝড়ের প্রভাবে সেখানে গত সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে।

ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি বলেন, “মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প হচ্ছে। প্রচণ্ড শব্দে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল, আমরা সবাই দৌড়ে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসি। আমাদের প্রতিবেশীদের অনেকে চিৎকার করে সাহায্য চাইছিল। কয়েকটি বাড়ি মাটির নিচে এমনভাবে চাপা পড়ে গিয়েছিল যে সেখান থেকে কেউ বেরতে পারছিল না, আমার এক ভাইয়ের বাড়িও তার মধ্যে আছে।”

এ ঘটনার পর ছয়শর বেশি পরিবারকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানায় বিবিসি। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন আগেই ওই এলাকার লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছিল।

চাপা পড়া বাড়ি ঘর থেকে বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ পেয়েছে।

ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে কয়েকজন মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করার আকুতি জানিয়েছেন বলে জানান পুলিশের মহাপরিদর্শক রডরিক গঞ্জালেস।

তিনি বলেন, “এখন ধ্বংসস্তুপের নিচে লোকজন বেঁচে আছে। তাদের কয়েকজন মোবাইলে বার্তা পাঠিয়েছে। খুব সম্ভবত ধ্বংসস্তুপের নিচে কোনো ফাঁকা জায়গায় তারা আটকে আছেন।”

এ সপ্তাহের শুরতে বেনগুয়েত প্রদেশে একটি খনি শহরে ভূমিধসে চাপা পড়ে অন্তত ৩২ জন প্রাণ হারায়।

তার আগে আইটোগনে ঝড় থেকে বাঁচতে একটি দ্বিতল ভবনে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের উপর পাহাড় ধসে পড়লে বেশ কয়েকজন মারা যায়।