অর্থপাচার: ২১ দফা অভিযোগের মুখে নাজিব রাজাক

রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ তহবিল ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারিতে ফের গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের ২১ দফা অভিযোগ আনা হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2018, 04:20 AM
Updated : 20 Sept 2018, 05:38 AM

বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি-বিরোধী কমিশন (এমএসিসি)।

ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বারহাদ (ওয়ানএমডিবি) থেকে ৬২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অভিযোগে বুধবার পুত্রাজায়ায় গ্রেপ্তার করা হয় দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তহবিল স্থানান্তরের ঘটনায় নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে মোট ২১ দফা আনতে যাচ্ছেন এমএসিসির তদন্তকারীরা।

এর মধ্যে পাচার হওয়া অর্থ গ্রহণের নয়টি, ওই অবৈধ অর্থ ব্যবহারের পাঁচটি, ওই অর্থ অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সাতটি অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক নূর রশিদ ইব্রাহিম।

এর আগে গত জুলাইয়েও একবার নাজিব রাজাককে গ্রেপ্তার করেছিল এমএসিসি। ওই সময় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে বর্তমানে মোট ‍সাতটি মামলার তদন্ত চলছে।

বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মালয়েশিয়াকে শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে নাজিব রাজাক প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ওয়ানএমডিবি তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেন।

কিন্তু পরে ওই তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে ওই অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। অবশ্য নাজিব রাজাক বরাবরই সেসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।

২০১৫ সালে নাজিব রাজাক যখন প্রধানমন্ত্রী, মালয়েশিয়ার আদালত তাকে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিল। তখন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, সৌদি আরবের রাজ পরিবার নাজিবকে ব্যক্তিগতভাবে ওই অর্থ দিয়েছে।

কিন্তু গত মে মাসের নির্বাচনে সরকার বদলের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষমতায় এসে পুনরায় ওই দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ দেন।

নাজিবের বিভিন্ন বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধারের পর জুলাইয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।