বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন দুই কোরিয়ার এ দুই নেতা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এ লক্ষ সাধনে ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা ফের শুরু করার উদ্দেশ্য নিয়ে চলতি বছরে তৃতীয় শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন দুই কোরিয়ার এ দুই নেতা।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তাদের প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলো ‘স্থায়ীভাবে’ বিলুপ্ত করার বিষয়ে রাজি হয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘অনুকূল পদক্ষেপ’ নিলে তারা তাদের মূল পারমাণবিক কমপ্লেক্স বন্ধ করে দিতেও রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়া অতিরিক্ত আরও পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে ‘তৈরি’ আছে বলে জানিয়েছে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পরিপূরক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে ইয়ংবিয়ানে তাদের মূল পারমাণবিক স্থাপনা স্থায়ীভাবে ভেঙে ফেলতেও রাজি আছে উত্তর কোরিয়া, বলেছেন প্রেসিডেন্ট মুন।
মুনের সঙ্গে আগের দুই বৈঠকে ও জুনে সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ‘কোরীয় উপদ্বীপের সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের’ লক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিম।
এক টুইটে কিমের এসব প্রতিশ্রুতিকে ‘দারুণ উদ্দীপক’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।
নিকট ভবিষ্যতে সিউল সফরে যাবেন বলেও জানিয়েছেন কিম। চলতি বছরের শেষ দিকে সিউলে কিমের সফরটি হতে পারে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন মুন।
এটি হলে তা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার প্রথম সফর হবে।