মঙ্গলবার লোহিত সাগরীয় বন্দর আল খৌখার কাছে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। আল-খৌখা বন্দরটি তাদের গুরুত্বপূর্ণ শরিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্যদের দখলে থাকার পরও এমন দাবি করেছে জোটটি।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, একটি যুদ্ধজাহাজ নৌকাটিতে হামলা চালালে কেবল একজন রক্ষা পান।
নৌকাটিতে হামলার কথা অস্বীকার করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বলেছে, অজ্ঞাত একটি নৌযান থেকে জেলেদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, তাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে।
“কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আল খৌখা বন্দরের কাছে জোটের নৌবাহিনী মাছধরা নৌকা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে বলে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছে জোট বাহিনীর কমান্ড,” এক বিবৃতিতে বলেছেন হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সামরিক জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালকি।
অতীতে হুথিরা এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
গত বছরের ডিসেম্বরে আল-খৌখা থেকে হুথিদের তাড়িয়ে সেখানে সামরিক ঘাঁটি বানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইয়েমেনের অন্যতম প্রধান বন্দর হুদেইদাহের নিয়ন্ত্রণ নিতে জোটবাহিনীর সাম্প্রতিক আক্রমণেও ঘাঁটিটিকে ব্যবহার করেছে তারা।
মাছধরা নৌকায় যুদ্ধজাহাজের গুলির ঘটনাটি জোট বাহিনী তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছেন আল মালকি। ওই এলাকায় উপস্থিত জেলেদের ও হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া জেলের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ২০১৫ সালে ইয়েমেনের আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদির নির্বাসিত সরকারকে ক্ষমতায় বসাতে দেশটির গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে। তারপর কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও দেশটির রাজধানী সানা ও হুদেইদাহ বন্দরের মতো জনবহুল এলাকাগুলো হুথিদের নিয়ন্ত্রণেই রয়ে গেছে।