তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ সমালোচকদের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি ঘৃণ্য বক্তব্য, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে তা ছড়াতে দেওয়ায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে দারুসম্যান বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আছে এমন একটি সরকার দরকার এবং ঘৃণ্য বক্তব্য ও ক্ষতিকর ভুল তথ্য রুখে দাঁড়ানোর মত নেতৃত্ব দরকার।”
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে কথাগুলো বলেন দারুসম্যান। তিনি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চরম নিষ্ঠুরতারও নিন্দা করেন।
এর আগে গত ২৭ অগাস্টেই এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেছিল মানবাধিকার কমিশনের গঠিত তদন্ত মিশন।মঙ্গলবার দারুসম্যানের নেতৃত্বাধীন দল এ কমিশনে ৪৪০ পাতার পূর্ণাঙ্গপ্রতিবেদন পেশ করেছে।
এতে বলা হয়, গণহত্যা চালানোর উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণ চালিয়েছে।সেনাবাহিনীর প্রধান এবং ৫ জেনারেলকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায়বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশও করা হয় এতে।
জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কায়াও মোয়ে তুন এ প্রতিবেদনকে এক পক্ষীয় বলে মন্তব্য করেছেন। এমন প্রতিবেদনের ফলে মিয়ানমার সরকারের শান্তি ও জাতীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর আগেও প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপকে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল মিয়ানমার সরকার।
দারুসম্যান মঙ্গলবার বলেন, মিয়ানমারের কোনো আইন কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানই সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর কার্যকলাপের উর্ধ্বে নয়। তাদেরকে বিচার থেকে এই অব্যাহতির অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান তিনি।