উদ্ধারের সময়ও মমিতে পরিণত হওয়া প্রাণী দুটোর চুল, চামড়া ও পেশির টিস্যু অক্ষত ছিল।
২০১৬ সালে ইউকন এলাকার ডসন শহরের কাছে খনি শ্রমিকরা এ নেকড়ে কুকুর ও কারিবুর দেহাবশেষের সন্ধান পান। গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পরে এগুলো জীবাশ্মবিদদের কাছে হস্তান্তর করা হয়, জানিয়েছে বিবিসি।
মমিতে পরিণত হওয়া নেকড়ে কৃকুরটি মৃত্যুর সময় আট সপ্তাহ বয়সী ছিল বলেও অনুমান করছেন তিনি।
“এটা চমৎকার, এর পশম, ছোট সুন্দর থাবা ও লেজ, বাঁকানো উপরের ঠোটে দাঁতও দেখা যাচ্ছে; এটা অপূর্ব,” বৃহস্পতিবার সংকাদ সংস্থা কানাডিয়ান প্রেসকে এমনটাই বলেন জাজুলা।
উত্তর আমেরিকার বড় বল্গা হরিণ প্রজাতির প্রাণী কারিবুটির দেহাবশেষে ছিল কাঁধ থেকে কোমর পর্যন্ত অংশ, মাথা ও সামনের বাহুগুলো।
তাদের আশা, বরফ যুগের আবহাওয়ায় প্রাণীরা কিভাবে বেঁচে থাকতো, মমিতে পরিণত হওয়া দেহাবশেষ দুটি সে বিষয়ে বিজ্ঞানীদের নানা ধরনের কৌতুহল মেটাবে।
লোমশ ম্যামথ ও এক প্রজাতির উট সেই সময় কানাডার উত্তরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ালেও বড় বড় ওই প্রাণীগুলো অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। নেকড়ে কুকুর ও কারিবুর দূরবর্তী বংশধরদের অবশ্য এখনও ইউকনের আশপাশেই পাওয়া যেতে পারে।