বিবিসি জানায়, ফিলিপিন্সের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সতর্কতা হিসেবে শনিবার দেশটির সব অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কৃষকরা ঝড় আসার আগে তাদের জমির আধা-পাকা ধান ঘরে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন।
তারা বলেন, জমির সব ধান পাকতে এখনো কয়েকদিন সময় প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ঝড়ের কারণে আমরা এখনই এগুলো কাটতে বাধ্য হচ্ছি। নতুবা আমাদের সবই হারাতে হবে।
মাংখুট এবছর ফিলিপিন্সে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস। যা ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে সমুদ্র থেকে উপকূলের দিকে উঠে আসছে।
এর আগে ঘুর্ণিঝড়টি পাঁচমাত্রার প্রলয়ঙ্কারী রূপ নিয়ে নর্দান মেরিয়ানা আইল্যান্ড ও গুয়ামে আঘাত হানে। তখন বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫৫ কিলোমিটার।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা লড়াই করতে প্রস্তুত। তারা বলছে এটা খুবই শক্তিশালী, আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।”
ফিলিপিন্সের ইতিহাসে ২০১৩ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের তান্ডবে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছিল। সেবার সাত হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক লাখ।