অনলাইন বিপণনে ‘অগ্রদূত’খ্যাত প্রতিষ্ঠানটিতে সোমবার এ পালা বদল ঘটতে যাচ্ছে।
শীর্ষ নির্বাহীর পদ ছাড়লেও মা আলিবাবার পরিচালনা পরিষদে থাকছেন; ‘শিক্ষায় মানবসেবার লক্ষে’ তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমটির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
১৯৯৯ সালে আলিবাবার যাত্রা শুরুর সময়ই কোম্পানিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মা; দুই দশকের মধ্যেই এটি বিশ্বের বৃহত্তম ইন্টারনেট কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
আলিবাবার বাজার মূল্য এখন ৪০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বলে জানিয়েছে বিবিসি। অনলাইন বিপণন, ক্লাউড কম্পিউটিং ও প্রযুক্তি খাতের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণেও কোম্পানিটির বিনিয়োগ আছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ইংরেজি শিক্ষক মা বলেছেন, অবসরে যাওয়া মানে যুগের ‘শেষ নয়, শুরু’।
“আই লাভ এডুকেশন.” বলেছেন তিনি।
সোমবার ৫৪ বছরে পা দিতে যাওয়া মা-র বর্তমান সম্পদ ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা তাকে চীনের তৃতীয় শীর্ষ ধনীতে পরিণত করেছে বলে গত বছর প্রকাশিত এক তালিকায় ফোর্বস জানিয়েছিল।
মাইক্রোসফটের বিল গেটসের অনুসরণে একটি ব্যক্তিগত দাতব্য সংস্থা বানাতে চান বলে গত সপ্তাহে ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে বলেছিলেন মা।
“বিল গেটসের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমি। তার মত এত ধনী কখনোই হতে পারব না; কিন্তু একটা জিনিস পারবো, আগেভাগে অবসরে যাওয়া। কোনো একদিন, দ্রুতই শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যাওয়ার চিন্তা করছি আমি। এটা এমন কিছু, আলিবাবার প্রধান নির্বাহীর চেয়েও যেটা আমি ভাল পারি,” বলেন তিনি।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝেইজিয়াং প্রদেশের হাংজৌ শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি শেখানোর মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মা-র; যদিও এ লাইনে বেশিদিন ছিলেন না তিনি। হাংজৌর ফ্ল্যাটেই একদল বন্ধুবান্ধব নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন আলিবাবার; দেড় যুগের ভেতরেই যে প্রতিষ্ঠানটি অনলাইন বিপণনে জায়ান্ট হিসেবে আবির্ভূত হয়।