বিবিসি জানায়, অ্যালেক্সান্দার পেত্রোভ ও রুসলান বশিরভ নামের দুই রুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে সলসবারিতে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ দায়েরের জন্য ‘যথেষ্ট প্রমাণ’ আছে বলে বুধবার জানিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এবং ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস)।
প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন, ওই দুই নাগরিক রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা এবং তারা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাউজ অব কমন্সে মে বলেন, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া তথ্য থেকে সরকার এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, দুই নাগরিক রাশিয়ার জিআরইউ গোয়েন্দা বিভাগের লোক।
তাদেরকে আটক করতে ইউরোপজুড়ে গেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পুলিশ দুইজনের ছবিও প্রকাশ করেছে।
গত ৪ মার্চ ইংল্যান্ডের সলসবারিতে নার্ভ এজেন্ট হামলার শিকার সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে একটি পার্ক থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার জন্য যুক্তরাজ্য সরকার শুরু থেকেই রাশিয়াকে দায়ী করে আসছে। তাদের যুক্তি, রাশিয়ায় তৈরি নার্ভ গ্যাস ‘নোভিচক’ দিয়ে স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।
সাবেক সোভিয়েত যুগে ১৯৭০-৮০’র দশকে এ নোভিচক তৈরি হয়েছিল। তবে রাশিয়া এটি ব্যবহার করে স্ক্রিপালদের ওপর হামলার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
সিপিএস এর আইন বিষয়ক পরিচালক সু হেমিং বলেন, “তাদের আইনানুযায়ী সাজা দেওয়ার মত যথেষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে আছে এবং পরিষ্কারভাবেই আমাদের দেশের জনগণ অ্যালেক্সান্দার পেত্রোভ ও রুসলান বশিরভের বিচার দেখতে চায়।”
“তবে আমরা অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে হস্তান্তরের জন্য রাশিয়ার কাছে আবেদন করব না। কারণ রাশিয়ার সংবিধানে নিজ নাগরিকদের হস্তান্তরের অনুমতি নেই।”
ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সের্গেই স্ক্রিপালকে হত্যার চক্রান্ত করা এবং স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়াসহ নিক বেইলি নামের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হবে।
মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, পেত্রোভ ও বশিরভ গত ২ মার্চ মস্কো থেকে যুক্তরাজ্যের গেটউইক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তারা পূর্ব লন্ডনের বাউ রোডের ‘সিটি স্টে হোটেলে’ উঠেন এবং ৪ মার্চ ওই হোটেল থেকেই সলসবারিতে যান।
স্ক্রিপাল যে বাড়িতে বসবাস করেন তার প্রবেশদ্বারেও বিষাক্ত নোভিচক পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বিবৃতি দেবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।