শনিবার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের এক বছরপুর্তিতে পম্পেও এ কথা বলেন।
পেছনে জ্বলন্ত গ্রাম আর প্রিয়জনের গুলিবিদ্ধ লাশ রেখে রাখাইন রাজ্যের লাখো রোহিঙ্গার অনিশ্চিত যাত্রায় নাফ নদীর দুই তীরে যে ভয়াবহ মানবিক সংকটের সূচনা হয়েছিল, অনেক অনিশ্চয়তা নিয়েই শনিবার তার এক বছর পূর্ণ হয়েছে।
এ এক বছরে রোহিঙ্গাদের জনস্রোত থিতু হয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশের কক্সবাজারে; সারি সারি ঝুপড়ি ঘরে সেখানে প্রায় সোয়া সাত লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে গড়ে উঠেছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির। কিন্তু রোহিঙ্গাদের পুরো একটি প্রজন্মের ভাগ্য এখনো অন্ধকারে ডুবে আছে।
এই এক বছরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার; সেজন্য বাংলাদেশের সঙ্গে তারা চুক্তিও করেছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার, নিরাপত্তা আর জীবিকার নিশ্চয়তা এখনও মেলেনি।
শনিবার এক টুইটে পম্পেও বলেন, “এক বছর আগে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির পর নিরাপত্তা বাহিনী বার্মার (মিয়ানমারের আগের নাম ছিল বার্মা) রাখাইনে জঘন্য জাতিগত নিধন চালিয়ে তার জবাব দেয়।”
“এজন্য যারা দায়ী যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই থাকবে। বার্মায় সফল গণতন্ত্রের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে অবশ্যই মানুষের মানবিক অধিকারকে সম্মান করতে হবে।”
যদিও রাখাইনের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছে, তার তদন্ত বা বিচারের দাবি এখনও উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রোহিঙ্গা সংকটের এই বর্ষপূর্তিকে চিহ্নিত করেছে বিশ্বনেতাদের ব্যর্থতায় ‘লজ্জাজনক একটি মাইলফলক’ হিসেবে।
প্রায় অর্ধশতাব্দীর সেনাশাসনের পর ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির দল মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে।