রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসবাদ এখনো হুমকি: সু চি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসবাদ এখনো হুমকি হয়ে আছে এবং তা ওই অঞ্চলে ‘মারাত্মক পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে জানিয়েছেন নেত্রী অং সান সু চি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2018, 02:01 PM
Updated : 21 August 2018, 02:20 PM

মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে এক বক্তৃতায় সু চি রোহিঙ্গা মুসলিম শব্দটি উল্লেখ না করে একথা বলেন।

গত বছর অগাস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ (এআরএসএ) হামলা চালায়। মিয়ানমার এ দলটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে থাকে।

২৫ অগাস্টে এআরএসএ’র ওই হামলার পরই রোহিঙ্গা দমন-পীড়ন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ নিপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা।

সু চি সিঙ্গাপুরে তার বক্তৃতায় বলেন, “সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ভয়াবহতা, যা থেকে মূলত রাখাইন পরিস্থিতি মানবিক সংকটের দিকে গেছে, তা আজও বাস্তব এবং বিদ্যমান।”

“এখানকার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঝুঁকি থেকে যাবে। এ হুমকি শুধু মিয়ানমার নয়, এ অঞ্চলসহ আশেপাশের দেশগুলোর জন্যও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।”

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী সু চি’কে একসময় মিয়ানমারে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া মুখ হিসেবে দেখা হত। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা অভিযানের বিরুদ্ধে কথা বলতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি সমালোচিত হয়েছেন।

জাতিসংঘ ওই সেনা অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ অভিহিত করলেও মিয়ানমার তা অস্বীকার করে আসছে। তারা সেখানে নৃশংসতার জন্য বরাবরই রোহিঙ্গদের দায়ী করছে।

গত বছর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে দু’দেশ একটি চুক্তি করলেও তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাংলাদেশকেই আগে শুরু করতে হবে বলে বক্তৃতায় জানিয়েছেন সু চি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পালিয়ে শরণার্থী শিবিরে থাকা মানুষদেরকে কোথায় পুনর্বাসন করা হবে সে জায়গা ঠিক করা হয়ে গেছে। তবে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, দুই দেশকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে একসঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। ঢাকাকেই প্রক্রিয়াটি শুরুর প্রথম উদ্যোগ নিতে হবে।

সু চি বলেন, “বাংলাদেশকেই প্রত্যাবাসনকারীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা কেবল সীমান্তে তাদের স্বাগত জানাতে পারি। বাংলাদেশ কত দ্রুত পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে চায় সে সিদ্ধান্তও তাদেরকে নিতে হবে বলে আমি মনে করি।”