পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, দু’দেশের মধ্যে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েই এ চিঠি দিয়েছেন মোদী। আর পাকিস্তানও আলোচনাকেই পুরোনো দুই শত্রু দেশের মধ্যে সামনে অগ্রসর হওয়ার একমাত্র পথ মনে করে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশী রাজধানী ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের বলেছেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেটিতে তিনি ইমরান খানকে অভিনন্দন জানান এবং... আলোচনা শুরু করার বার্তা দিয়েছেন।”
কিন্তু ভারত পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি অস্বীকার করে বলেছে, “মোদী অভিনন্দন জানাতেই ওই চিঠি লিখেছেন। তাতে আলোচনার কোনো আহ্বান জানানো হয়নি৷”
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর চিঠি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, “এ চিঠিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সব সময় প্রতিবেশীসুলভ সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং এ উপমহাদেশের মানুষের উপকারার্থে অর্থবহ ও গঠনমূলক কথাবার্তায় ভারতের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা বলা হয়েছে।”
চিঠিতে ইমরানকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোন মধ্যে সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রাখার অভিপ্রায়ও প্রকাশ করেন মোদী।
তাছাড়া, সন্ত্রাস নিয়ে দুদেশের মধ্যে আলোচনা চলতে পারে এমন কথা ভারত বরাবরই বলে আসছে। কূটনীতিকরা বলছেন, সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনার বিষয়টিকেই দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ভেবে ভুল করেছেন কুরেশি।
চিঠির বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরুর পর সোমবার সন্ধ্যায় পাকিস্তান নতুন করে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে। এক প্রেস বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী আসলে গঠনমূলক কথাবার্তার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন। সরাসরি আলোচনার কোনো প্রস্তাব দেননি।
গত মাসে পাকিস্তানের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই ভারতের জন্য সুসম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ইমরান খান৷ প্রথমেই কাশ্মীর সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেছিলেন, দ্রুত সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজবেন৷ আলোচনাকেই সমস্যার একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে এপথে আগানোরই ইঙ্গিত দেন তিনি৷ গত মাসে দু’দেশের নেতার মধ্যে ফোনে কথাও হয়।