শনিবার থেকে এ বিধি কার্যকর হয়েছে। আর এ কারণে প্রতিবেশী কলম্বিয়ায় ভেনেজুয়েলার হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়েছে।
ভেনেজুয়েলায় চরম অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে দলে দলে মানুষ দেশ ছেড়ে শুধুমাত্র পরিচয়পত্র হাতে কলম্বিয়া হয়ে ইকুয়েডরে প্রবেশ করছে।
তাদের অনেকেই পেরু ও চিলিতে বসবাস করা পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে দক্ষিণে অগ্রসর হচ্ছে।
ইকুয়েডরের নতুন এ পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে কলম্বিয়া। তারা বলছে, এতে ভেনেজুয়েলার অসহায় শরণার্থীরা তাদের সীমান্তে আটকা পড়ে থাকবে।
কলম্বিয়ার অভিবাসন সংস্থার পরিচালক ক্রিস্টিয়ান ক্রুগার বিবিসি’কে বলেছেন, এ পদক্ষেপ কেবল সংকট আরো বাড়াবে। তিনি বলেন, “শরণার্থী প্রবেশের জন্য পাসপোর্টের শর্ত দিয়ে তাদের ঢল থামানো যাবে না।”
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত ১৫ মাসে ভেনেজুয়েলার ১০ লাখের বেশি শরণার্থী কলম্বিয়ায় প্রবেশ করেছে। আর প্রতিদিন চার হাজারের বেশি শরণার্থী ইকুয়েডর সীমান্তে জড় হচ্ছে।
শনিবার ভেনেজুয়েলার প্রায় ৩শ’ শরণার্থী কলম্বিয়ার একটি শহরের বাইরে সীমান্ত পারাপার এলাকায় লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিল। অনেকেই জানিয়েছে, ইকুয়েডরে প্রবেশের জন্য তাদের কোনো পাসপোর্ট নেই।
পাসপোর্টহীন শরণার্থীরা দিশেহারা। তারা বলছে, তাদের ফিরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।
ভেনেজুয়েলায় চরম খাদ্য সঙ্কটের কথা জানিয়ে এক শরণার্থী বলেন, “সেখানে অনেক পরিবারই আবর্জনা থেকে খাবার কুড়িয়ে খাচ্ছে।”
ভেনেজুয়েলায় বিশ্বে সবচেয়ে চরম মুদ্রাস্ফীতি, খাবার এবং ওষুধের সঙ্কট চলছে। অনেকেই সেখানে অনাহারে আছে এবং অর্থনৈতিক নিশ্চয়তার খোঁজে দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
দেশটি রাজনৈতিক সংকটেও জর্জরিত। ভেনেজুয়েলার বিরোধীদল ক্ষমতাসীন স্যোশালিস্ট পার্টির নীতিমালা নিয়ে দোষারোপ করছে।
গত বছর দেশটিতে কয়েক মাসের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর বিরোধীদলের চেষ্টার পরও মে মাসের নির্বাচনে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন। এরপর এ মাসের শুরুর দিকে তাকে হত্যার চেষ্টা দেশটিতে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভেনেজুয়েলাবাসীরা অনেকে দেশ ছেড়ে ব্রাজিলের শরণার্থী শিবিরেও আশ্রয় নিচ্ছেন। সেখান থেকেও তাদেরকে হটাতে শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ব্রাজিলের স্থানীয় বাসিন্দারা।