তারপরও বিলটি বেইজিং কে লক্ষ্য করেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে চীন এতে অষন্তোষ প্রকাশ করেছে।
সোমবার ট্রাম্প ৭১ হাজার ৬শ’কোটি মার্কিন ডলারের ওই প্রতিরক্ষা বিল সই করেন। যেখানে সামরিক ব্যয় অনুমোদন পাওয়ার পাশাপাশি চীনের ‘জেডটিই কর্পোরেশন’ ও ‘হুয়াই টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের’ সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চুক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণও শিথিল করা হয়েছে।
তবে ন্যাশনাল ডিফেন্স অথোরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) নামক এ নতুন বিলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের ওপর নজরদারি এবং তাইওয়ান বাহিনীকে শক্তিশালী করে তুলতে তাদের প্রস্তুতির পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন সম্পর্কিত রিপোর্ট পেশের ব্যবস্থা থাকায় চীন এর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরক্ষা বিল সইয়ের পরদিনই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, “চীন বরাবরই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার রেখেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে ঠান্ডা যুদ্ধের মানসিকতা ত্যাগ করার অনুরোধ করছি।”
নতুন প্রতিরক্ষা বিলে প্রস্তাবিত বিদেশি বিনিয়োগ জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি হবে কিনা তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি বিনিয়োগ যাচাই-বাছাই কমিটিকে (সিএফআইইউএস) আরো শক্তিশালী করা হয়েছে।
‘জেডটিই’ চীনের দ্বিতীয় বৃহৎ প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। যেটির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ইরান ও উত্তর কোরিয়ায় পণ্য রপ্তানির অভিযোগ আছে। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আইনপ্রণেতা কোম্পানিটিকে শাস্তি দিতে চায়।
নতুন সই হওয়া আইনকে কাজে লাগিয়ে কোনো কোনো আইনপ্রণেতা জিটিই’র ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করারও পক্ষপাতি।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে জেডটিই ও হুয়াই কর্তাদের সঙ্গে চীন সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ওই দুইটি কোম্পানি গুপ্তচরবৃত্তিও করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। দুই দেশ পরষ্পরের পণ্যের উপর কোটি কোটি ডলার শুল্কারোপ করেছে।