যদিও ‘অপরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির' কথা বলে স্মালান্দ সৈকত এলাকার স্থানীয়রা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পুরো ইউরোপ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বা কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
এ অবস্থায় সুইডেনের অনেক অঞ্চলে খরা দেখা দিয়েছে। যে কারণে খামার মালিকদের গবাদি পশুর খাবার ও পানির যোগান দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে।
খাদ্যের চাহিদা কমাতে অনেক খামারি গবাদি পশু সময়ের আগেই জবাই করছে। কিন্তু বহু কৃষকই তাদের গবাদি পশুকে প্রচণ্ড তাপের হাত থেকে বাঁচাতে কাছের নগ্ন সৈকতগুলোতে নিয়ে যেতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে পৌরকর্মকর্তা পিটার বেংটসন বলেন, “এইরকম খরার সময় আপনি নিশ্চয়ই বিনা প্রয়োজনে গরু জবাই করতে চাইবেন না। তাদের জন্যও নিঃশ্বাস নেওয়ার এবং খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।”
কিন্তু সৈকতে স্নান করতে আসা দর্শণার্থীরা গরুর প্রবেশের অনুমতি দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করলে ‘ভ্যাক্সজো’ পৌরসভার সংস্কৃতি ও অবকাশ অধিদপ্তর এ নিয়ে ভোটের আয়োজন করে।
ভোটের পর তারা সৈকতে গবাদি পশু প্রবেশের অনুমতি দিয়ে বলে, “মানব দর্শণার্থীদের সৈকতে প্রবেশের যে অধিকার আছে, গবাদি পশুও ঠিক ততটুকু অধিকার পাবে।”
পৌর কর্মকর্তা বেংটসন বলেন, “গবাদি পশুর কারণে সৈকতে আসা দর্শণার্থীদের ই.কোলাই সংক্রমণের শিকার হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই। তবে লোকজন যেখান স্নান করছে বা করতে চাইছে খামারিরা সেখানে গরু পানিতে নামাতে পারব না।”
আর, স্নান করতে আসা দর্শণার্থীরা যদি অ্যালার্জি বা সৈকতের ভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো অভিযোগ করেন তবে পৌর কর্মকর্তারা খামার মালিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে হয়ত কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।