সিএনবিসি'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পম্পেও বলেন, পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।
“কিন্তু তাই বলে আইএমএফ তহবিল থেকে পাওয়া অর্থ সহায়তা (বেইলআউট) দিয়ে চীনের ঋণ পরিশোধের কোনো যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা নেই।
“কোনো ভুল করবেন না। আইএমএফ কি করছে আমরা তা নজরে রাখব।”
গত রোববার ‘দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের কয়েকজন অর্থ কর্মকর্তা ইমরান খানকে আইএমএফ থেকে ১ হাজার ২শ’ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার ছক কষছেন।
এ খবর প্রকাশের পর আইএমএফ মুখপাত্র বলেন, “আমি নিশ্চিত করে বলছি, আমরা এখনো পাকিস্তানের কাছ থেকে কোনো তহবিল দেওয়ার অনুরোধ পাইনি। যে কারণে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ সংক্রান্ত কোনো আলোচনা আমরা এখনো করিনি।”
এ বিষয়ে বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য আইএমএফ এর নিজস্ব অবস্থান ও পরিচালনা নীতি আছে।
“আমার বিশ্বাস তারা তা ঠিকঠাকভাবেই নিয়ন্ত্রণ করবে।” এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।
পাকিস্তানে গত কয়েকবছর ধরে মুদ্রা সংকট চলছে। যা নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
অনেক বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী নেতাদের আশা দেশটির নতুন সরকার আইএমএফ থেকে আরও একটি তহবিল পাবে, যদিও পায় তবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে তা দ্বিতীয়বার হবে।
পাকিস্তান এরই মধ্যে দেশটির বড় ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চীন এবং দেশটির ব্যাংক থেকে প্রায় ৫শ’ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নিয়েছে। ধুঁকতে থাকা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে আরো একশ’ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চেয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন থেকে উন্নয়নশীল দেশের অবকাঠামো নির্মাণে চীনের দেওয়া ঋণের সমালোচনা করে বলেছে, এর ফলে ওইসব দেশ লাগামহীন ঋণের বোঝার নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে।
১৯৮০ সাল থেকে পাকিস্তান ‘ফোরটিন আইএমএফ’ আর্থিক প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত। এছাড়াও দেশটি ২০১৩ সাল থেকে আইএমএফ এর তিন বছরের জন্য প্রায় ৬৫০ কোটি ডলার তহবিল সরবরাহ প্রকল্পেও আছে।