বিবিসি জানিয়েছে, রোববার এক টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, “আর কখনোই যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েন না, তা না হলে এমন পরিণতি বরণ করতে হবে যা ইতিহাসজুড়ে অতি অল্প দেশই এর আগে বরণ করেছে’।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের আগে যুক্তরাষ্ট্রকে শাসিয়ে রুহানি বলেছিলেন, “সব যুদ্ধের জননী হবে ইরান।”
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচী সীমিত করার বিনিময়ে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্তে করা বহুজাতিক চুক্তি থেকে মে মাসে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তির অপর অংশীদার যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির আপত্তি সত্বেও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।
ইরানি প্রেসিডেন্ট রুহানির উদ্দেশ্যে করা নিজের টুইটে ট্রাম্প আরও বলেছেন, “আপনাদের উন্মত্ত সহিংসতা ও মৃত্যুর শব্দের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দেশ আর আমরা নেই। সাবধান হোন!”
একইদিন ক্যালিফোর্নিয়ায় ইরানি আমেরিকান নাগরিকদের এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, “ইরানের শাসনব্যবস্থা একটি সরকারের চেয়ে মাফিয়াদের সঙ্গেই মিলে বেশি।”
এ সময় তিনি ইরানি প্রেসিডেন্ট রুহানি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের নিন্দা করেন।
যে দেশগুলো ইরানি তেল আমদানি করে থাকে, তেহরানের ওপর ধারাবাহিক চাপ বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে তাদের নভেম্বরের মধ্যে আমদানি থেকে বিরত করার চেষ্টা করতে চান বলেও ওই অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন পম্পেও।