টরন্টোর রাস্তায় গুলিতে নিহত ২

কানাডার টরন্টোতে রাতের রাস্তায় অস্ত্রধারীর গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে এবং শিশুসহ আরো ১২ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বন্দুকধারীকে পরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2018, 04:03 AM
Updated : 23 July 2018, 04:27 PM

রোববার রাতে টরন্টোর গ্রিকটাউন এলাকায় ড্যানফোর্থ ও লোগান এভিনিউয়ে ওই ঘটনা ঘটে। হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে এক নারীর মৃত্যু হয়। সোমবার ভোরে দ্বিতীয় ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবর আসে।

পুলিশ হামলাকারীকে গুলি ছুড়লে সেও পাল্টা গুলি ছোড়ে। পরে কাছের একটি রাস্তায় হামলাকারীর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে জানান টরন্টোর পুলিশ প্রধান মার্ক সন্ডার্স।

 

হামলাকারীর বয়স ২৯ বছর, তার পরিচয় এখনও সনাক্ত হয়নি। হামলার কারণও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আহতদের মধ্যে আট-নয় বছরের একটি মেয়ের অবস্থা গুরুতর। বাকিদেরও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সেখানে ঠিক কী ঘটেছে, তা জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছে পুলিশ।

সিবিসি অনলাইন এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে এক ব্যক্তিকে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে আসতে আসতেই হাতের পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।

জোডি স্টেইনহাওয়ার নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী সিবিসি নিউজকে বলেন, গোলাগুলির ঘটনার সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ড্যানফোর্থের একটি রেস্তোরাঁয় ছিলেন।

 

হঠাৎ করেই তারা ১০ থেকে ১৫টি বিকট শব্দ পান। প্রথমে তাদের মনে হয়েছিল, বোধ হয় বাজি ফোটানো হচ্ছে। দৌড়ে রেস্তোরাঁর পেছনে চলে যাওয়ার সময় তারা লোকজনের চিৎকার শুনতে পান। 

গোলাগুলির ঘটনার পর টরন্টোর মেয়র জন টোরি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হওয়াই এ সমস্যার মূল কারণ বলে তিনি মনে করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে টরন্টোতে অস্ত্রবাজি বেড়ে যাওয়ায় গত সপ্তাহে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেসব এলাকায় এসব ঘটনা বেশি ঘটছে, সেখানে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত পালা করে টহল দেওয়ার জন্য ২০০ পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় হতাহতদের প্রতিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।