শনিবার খুচরা পণ্যের ওই দোকানটিতে জিম্মি করে রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে সে এক নারীকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
নগরীর অপর একটি অংশে সন্দেহভাজন তার দাদী ও অপর এক নারীকে উপর্যুপরি গুলিবর্র্ষণ করেছে এমন ধারণা থেকে তার পিছু নেয় পুলিশ। গাড়ি নিয়ে পালাতে গিয়ে স্থানীয় ট্রেডার জো চেইনশপের একটি বিক্রয়কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে ধাক্কা খায় সে। এখানে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পর সে জনাকীর্ণ দোকানটিতে প্রবেশ করে।
বন্দুকধারী ওই দোকানে এক নারীকে গুলি করার পর তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে টুইটারে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ও নগরীর মেয়র এরিক গারসেটি জানিয়েছেন, পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে বন্দুকধারীর হাতে গুলি লেগেছিল এবং পুলিশের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করে সে আত্মসমর্পণে রাজি হয়।
এরপর ২৮ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন বন্দুকধারী দোকানটি থেকে বের হয়ে আসলে পুলিশ তাকে ঘিরে ধরে।
মেয়র গারসেটি বলেন, “বের হয়ে আসার পর সন্দেহভাজন হ্যান্ডকাফ চায়। এরপর নিজেই নিজের হাতে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।”
এভাবেই তিন ঘন্টা ধরে চলা জিম্মি সংকটের অবসান হয়। পুলিশ সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি। তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর দোকানটিতে থাকা প্রায় ২০ জন লোককে রাস্তায় বের হয়ে আসতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দোকানটিতে আটকা পড়া কয়েকজন জানালা দিয়ে দড়ির একটি মই বেয়ে নেমে আসছেন, জিম্মি সংকট চলাকালীন এমন একটি ফুটেজ সম্প্রচার করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম। জিম্মি সংকট শুরু হওয়ার ঘন্টাখানেক পর কয়েকজন সামনের দরজা দিয়েও বের হয়ে আসছেন, এমন ফুটেজও দেখিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
এভাবে যারা বের হয়ে এসেছেন তাদের কয়েকজন জানিয়েছেন, তারা দোকানটির কর্মীদের অংশে লুকিয়ে ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে জানিয়েছেন, তিনি সম্ভাব্য জিম্মি সংকট পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিলেন।