সেনা নিহতের পাল্টায় গাজায় ফের ইসরায়েলি হামলা

গাজা সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় এক ইসরায়েলি সৈন্য নিহতের পাল্টায় হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলটির বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে তেল আবিব।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 July 2018, 04:25 AM
Updated : 21 July 2018, 04:25 AM

কয়েক মাস ধরে গাজা সীমান্তে চলা অস্থিরতায় এবারই প্রথম ইসরায়েলি কোনো সেনার নিহত হওয়ার খবর মিলল বলে জানিয়েছে বিবিসি।

গুলিতে গুরুতর জখম হওয়ার পর শুক্রবার সৈন্যটির মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনীও।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তেল আবিবের পাল্টা আক্রমণে হামাসের তিন সদস্যসহ অন্তত চার জন নিহত হয়েছে। সীমান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে চতুর্থ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

শুক্রবারের বিক্ষোভ ও পাল্টা আক্রমণে উভয়পক্ষের ৫ জন নিহতের পর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হামাস।  

“মিশর ও  জাতিসংঘের চেষ্টায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অংশের মধ্যে শান্তির সময়ে ফিরে আসার সমঝোতা হয়েছে,” রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহৌম।

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

গাজা সীমান্তে শুক্রবারের বিক্ষোভের মধ্যেই অন্তত তিনটি রকেট ইসরায়েলের ভূথণ্ডের দিকে ছোড়া হয় বলে অভিযোগ তেল আবিবের। এরপরই গাজায় নতুন করে অভিযানে নামে তারা। অভিযানে গাজার উত্তরে হামাসের ১৫টি সামরিক ঘাঁটি ও দক্ষিণের খান ইউনিসে আরও ২৫টি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয় বলে জানায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। হামলা অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় তারা। 

এর আগে গত সপ্তাহে হামাসের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য ২০০রও বেশি রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়েছিল তেল আবিব, যাকে ২০১৪ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।

সীমান্ত বরাবর এ নিয়ে ১৭ সপ্তাহ ধরে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এ সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১৩০ জনের বেশি নিহত এবং ১৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা।

শুক্রবারের বিক্ষোভ ও পাল্টাপাল্টি হামলার পর উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত বিষয়ক বিশেষ দূত নিকোলাই ম্লাদেনভ।

“সবারই বোঝা উচিত পরিস্থিতি দমাতে না পারলে আমরা দ্রুতই আরেকটি সংঘর্ষের দিকে এগিয়ে যাবো। সব অংশ, সব পক্ষের কাছে আমার প্রত্যাশা তারা তাদের সর্বোচ্চটুকু করবে। আগামী মাসে নয়, আগামী সপ্তাহেও নয়, উত্তেজনা নিরসনে এখনি সেটি করে দেখাতে হবে,” বলেছেন তিনি।