সরকার শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে।
সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশের সমান সংখ্যক মানুষের তথ্য চুরি যাওয়ায় একে সবচেয়ে ‘ভয়াবহ সাইবার হামলা’ বলে উল্লেখ করেছে সরকার।
বিবৃতিতে সরকার জানায়, হ্যাকাররা পরিকল্পিতভাবে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার তথ্যভান্ডারে ঢুকে তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে বলে তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তদন্ত করেছে সিঙ্গাপুরের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এবং ইন্টিগ্রেটেড হেলথ ইনফরমেশন সিস্টেম।
২০১৫ সালের মে এবং এবছর ৪ জুলাইয়ের মধ্যে ক্লিনিকে যাওয়া প্রায় ১৫ লাখ রোগী এ হামলার টার্গেট হয়েছে। রোগীদের নাম-ঠিকানাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদেরকে কি ওষুধ দেওয়া হয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্য চুরি করেছে হ্যাকাররা। তবে তাদের মেডিকেল রেকর্ড নয়।
ক্লিনিকের বহির্বিভাগের প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার রোগীকে দেওয়া ওষুধের তথ্য চুরি হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে সরকার।
তবে কোনো রেকর্ড সংশোধন কিংবা ডিলিট করা হয়নি। অন্য কোনো রোগীর রেকর্ড যেমন: ডায়াগনোসিস, টেস্ট রেজাল্ট কিংবা ডাক্তারের নোটের তথ্য নেওয়া হয়নি। অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবার আইটি সিস্টেমেও এ ধরনের কোনো হ্যাকিংয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
হ্যাকাররা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী লুঙয়ের ব্যক্তিগত তথ্য টার্গেট করে বারবার হামলা চালিয়েছে। তাছাড়া, তাকে কি ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়েছে সে তথ্য চুরি করেছে।
উন্নত চিকিৎসার দেশ এবং আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান সিঙ্গাপুর যেখানে আসিয়ান জোট এমনকি নিজ দেশের জন্যও সাইবার নিরাপত্তা রক্ষাকে শীর্ষ অগ্রাধিকার দিয়েছে সেখানে হ্যাকিংয়ের এত বড় একটি ঘটনা ঘটল।
“এ সাইবার হামলা মামুলী কোনো হ্যাকার বা অপরাধ চক্রের কাজ নয়” বলে এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং যোগাযোগ ও তথ্যমন্ত্রণালয়।
সরকার এর আগে সাইবার হামলার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করেছে এবং তারা আন্তর্জাতিক হ্যাকারদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে বেশিরভাগ সাইবার হামলাই নস্যাৎ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিল সরকার।
সম্প্রতি কয়েকবছরে সিঙ্গাপুর হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে গত বছর দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সাইবার হামলার টার্গেট হয়েছে।