সিউলের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট শুক্রবার এ রায় দেয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অভিশংসিত হওয়া পার্ক এখনি ২৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। সরকারি তহবিলের ক্ষতি ও নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে এর সঙ্গে আরও ৮ বছর যুক্ত হল।
সাবেক সহযোগীদের সঙ্গে যোগসাজশে পার্ক দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ৩০ বিলিয়ন উয়ন (প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার) ক্ষতি করেছিলেন বলে রায়ে জানায় সিউলের সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট।
সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বাছাইয়ে হস্তক্ষেপের দায়েও দেশটির প্রথম এ নারী প্রেসিডেন্টকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
৬৬ বছর বয়সী পার্ক তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। রায় ঘোষণার সময়ও তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না, জানিয়েছে রয়টার্স।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাবেক সেনাশাসক পার্ক চুং-হির মেয়ে পার্ক জিউন-হাই ২০১৩ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। ব্যক্তিগত লাভের জন্য বন্ধুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করেছেন- এমন অভিযোগে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে পার্লামেন্ট ও রাজপথে পার্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়।
ওই বছর ডিসেম্বরে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি করে পার্ককে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গতবছর মার্চে দেশটির সাংবিধানিক আদালত সেই সিদ্ধান্তে সায় দিলে পার্ককে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে যেতে হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে চলতি বছরের এপ্রিলে আদালত তাকে ২৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পাশাপাশি সাবেক এই রাষ্ট্রপ্রধানকে ১৮ বিলিয়ন উয়ন জরিমানাও করা হয়।