নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য এবার পুতিনকেই ‘দায়ী’ করলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ‘কোনো কারণ নেই’ বলার দুদিনের মধ্যেই নিজের অবস্থান পাল্টে ওই হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2018, 05:03 AM
Updated : 19 July 2018, 05:03 AM

ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্তে বৈঠকের পর দেশে ফিরে বুধবার সিবিএস নিউজকে তিনি এমনটাই বলেছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

“দেশে যা ঘটছে তার জন্য আমি যেমন নিজেকে দায়ী মনে করি, তেমনি একটি দেশের নেতা হিসেবে আপনি তাকেও দায়ী করবেন, অবশ্যই,” সাক্ষাৎকারে বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সোমবার পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পর ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা না করে উল্টো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে গোটা বিশ্বকে বিস্মিত করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচন নিয়ে ‘রাশিয়ার মাথা ঘামানোর কোনো কারণ নেই’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।

নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, কাকে বিশ্বাস করছেন তিনি, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, “রাশিয়ার এটি করার কোনো কারণ আমি দেখছি না। রাশিয়া এটি করেনি বলে জোরালভাবেই জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।”

রুশ প্রেসিডেন্টকে বিশ্বাস না করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাশিয়ার সঙ্গে নাজুক সম্পর্কের জন্য বিগত মার্কিন প্রশাসনগুলোকেও দায়ী করেন তিনি। যা নিয়ে দেশের ভেতর ট্রাম্পকে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতারও অভিযোগ তুলেন কেউ কেউ। শীর্ষস্থানীয় অনেক রিপাবলিকান নেতাও তার তীব্র সমালোচনা করেন।

এসব সমালোচনার মুখে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পর ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি রাশিয়া কেন ওই কাজ ‘করবে না’ বলতে গিয়ে কেন ‘এটি করবে’ বলে ফেলেছিলাম। বাক্যটা আসলে হবে “রাশিয়ার এটি না করার কোনো কারণ দেখি না।”

নিজের বক্তব্যের এ ব্যাখ্যা দেওয়া ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উপর ‘পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন আছে’ বলেও জানান ট্রাম্প।

হেলসিংকিতে পুতিন ও ট্রাম্পের মুখোমুখি বৈঠকে দুই নেতার সঙ্গে তাদের দোভাষী ছাড়া আর কেউই উপস্থিত ছিল না। এ নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানাতে আগামী সপ্তাহেই মার্কিন কংগ্রেসের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।