উ. কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে কোনো ‘সময়সীমা’ নেই: ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ‘কোনো ধরনের সময়সীমা’ থাকছে না এবং এজন্য তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2018, 07:16 AM
Updated : 18 July 2018, 07:17 AM

এর মাধ্যমে পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে ট্রাম্প তার আগের বক্তব্যে থেকে সরে এলেন বলে ভাষ্য বিবিসির।

উত্তর কোরিয়া ‘অতি দ্রুত’ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের কাজ শুরু করবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন তিনি।

সিঙ্গাপুরে গত মাসে উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠকের পর দুই নেতাই কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

তাদের মধ্যে হওয়া সমঝোতায় নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরুর কোনো ‘সময়সীমা’উল্লেখ করা হয়নি, কীভাবে এটি বাস্তবায়িত হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।  

১২ জুন সিঙ্গাপুরের সেনতোসা দ্বীপে হওয়া দুই নেতার ওই বৈঠকের পর কোরীয় উপদ্বীপের নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে বলে মন্তব্য বিবিসির।

ঐতিহাসিক ওই বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ২০২০ এর মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের ‘বড় ধরনের’ নিরস্ত্রীকরণ দেখা যাবে বলে আশাবাদও ব্যক্ত করেছিলেন।

বৈঠকের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার লক্ষে এ মাসের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়া সফরও করেছিলেন তিনি।

পম্পেওর ওই সফরের পরপরই গত সপ্তাহেই নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুণ্ডাদের মতো’ দাবি তুলছে বলে অভিযোগ করেছিল উত্তর কোরিয়া।

উচ্চ পর্যায়ের আলোচনাগুলোতে মার্কিনের আচরণকে ‘গুরুতর সমস্যাযুক্ত’ হিসেবেও অ্যাখ্যায়িত করেছে তারা।

যদিও ট্রাম্প বলছেন, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনা চমৎকারভাবেই এগিয়ে চলছে।

“আমাদের কোনো সময়সীমা নেই, কোনো গতিসীমাও নেই। আলোচনা চলছে, খুব ভালোভাবেই চলছে। নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ, জিম্মিরা ফিরে এসেছে,” মঙ্গলবার সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়েও আশাবাদী তিনি।

“কোনো ধরনের পারমাণবিক পরীক্ষা হচ্ছে না। গত নয় মাস সময়ের মধ্যে কোনো রকেটও ওড়েনি; আমার ধারণা সম্পর্ক এখন বেশ ভালো, আমরা দেখবো, এটি কেমন চলে,” বলেছেন ট্রাম্প।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায়ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

“আমাদের সঙ্গে আছেন এই অর্থেই প্রেসিডেন্ট পুতিন এতে জড়িত হতে যাচ্ছেন,” বলেছেন ট্রাম্প।

সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের আগে দেশটির পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের সময়সীমা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের যে অবস্থান ছিল, তিনি এখন সেখান থেকে অনেকখানিই সরে এসেছেন বলে মন্তব্য বিবিসির।

পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন শীর্ষ সম্মেলনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়াকে ‘অবিলম্বে’ নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

কিমের সঙ্গে বৈঠকের পরও তিনি বলেছিলেন, পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের কাজ ‘অতি দ্রুতই শুরু হবে’।

যদিও এরপর থেকেই উত্তরের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে আগের অবস্থান থেকে ক্রমাগত সরছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সন্ধির বিষয়টি ‘সম্ভবত ধারণার চেয়েও দীর্ঘ হতে পারে’।