থাইল্যান্ডে উদ্ধার হওয়া কিশোরদের ভিডিও বার্তা প্রকাশ

থাইল্যান্ডের গুহায় ১৭ দিন আটকে থাকার পর উদ্ধার পাওয়া কিশোরদের প্রথম ভিডিও বার্তা প্রকাশ পেয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 15 July 2018, 01:34 PM
Updated : 15 July 2018, 01:34 PM

ভিডিওতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোরদেরকে তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে দেখা গেছে। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদও জানিয়েছে তারা।

১৭ দিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার ছাপ ছিল না তাদের চোখেমুখে। ১৪ বছরের এক কিশোর জানায় তার শরীরের অবস্থা খুব ভাল। তার জীবন বাঁচানোর জন্য সে ধন্যবাদও জানায়।

থাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীও জানিয়েছেন, “১২ ফুটবলার ও তাদের কোচের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল আছে... তারা উজ্জীবিতও আছে। তাদেরকে খুব বেশিদিন হাসপাতালে থাকতে হবে না। বৃহস্পতিবারই  কিশোররা হাসপাতাল ছাড়তে পারবে।”

কর্মকর্তারা বলছেন, কিশোরদেরকে মনঃস্তাত্বিক সমর্থন দেওয়া দরকার।

তাছাড়া, গুহা থেকে উদ্ধার পাওয়ার ঘটনাটি নিয়ে জনমনে আগ্রহ থাকলেও কিশোরদের গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়া থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

কিশোরদেরকে কোনোরকম মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখতে তাদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বাবা-মা দেরকেও বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটানো এবং কোনো সাক্ষাৎকার না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ জুন নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে দলের এক কিশোরের জন্মদিন উদযাপন করতে ‘ওয়াইল্ড বোয়ার’ নামের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের কোচ চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহার প্রবেশ করে।

দলটি প্রবেশের পর আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে যাওয়ায় তারা আটকা পড়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিনের মাথায় গুহা মুখ থেকে চার কিলোমিটার ভেতরে দলটির সন্ধান পান দুই ব্রিটিশ ডুবুরি।

বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গুহার পানি বাড়তে থাকায় কিশোর দলটির সন্ধান পাওয়ার পরও তাদের বের করে আনা সম্ভব হচ্ছিল না।

কিভাবে বের করা হবে এ নিয়ে আলাপ আলোচনার মধ্যেই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আরও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার পর ঝুঁকি নিয়েই কিশোরদের বের করে আনার কাজ শুরু হয়।

কিশোরদের উদ্ধার অভিযানে দেশি-বিদেশি প্রায় হাজার খানেক ডুবুরি অংশ নেন।

তাদের মধ্যে থাই নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এক ডুবুরি কিশোর দলের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু বরণ করেন।

গত রোববার থেকে কিশোরদের বের করে আনার চূড়ান্ত অভিযান শুরু হয়। ওই দিন চারজন, পরদিন চারজন এবং তৃতীয়দিন আরও চার কিশোর ও তাদের কোচকে নিরাপদে বের করে আনা হয়।