ওজন হারালেও তারা ভাল আছে এবং তাদের মধ্যে চাপের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে বুধবার জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের এক জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
মঙ্গলবার রাতে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী থাম লুয়াং গুহা থেকে ‘ওয়াইল্ড বোয়ার’ ফুটবল দলের অবশিষ্টদের বের করে আনার পর থাইল্যান্ডজুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকা লোকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে।
গুহা থেকে শেষ দলটিকে উদ্ধারের পর তাদের হেলিকপ্টারে উড়িয়ে ৭০ কিলোমিটার দূরের চিয়াং রাই প্রাচানুকরহ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দলটির আগে উদ্ধার পাওয়া বাকি কিশোররাও ওই হাসপাতালেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক থংচাই লের্টউইলাইরতনাপং বলেছেন, “আমাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, তারা ভাল অবস্থায় আছে এবং চাপের মধ্যে নেই। গুহার মধ্যেও ওই শিশুদের ভাল যত্ন নেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ বালকই গড়ে ২ কেজির মত ওজন হারিয়েছে।”
মঙ্গলবার শেষ যে দলটিকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের একজনের ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং পুরো দলের সবাইকে জলাতঙ্ক ও টিটেনাসের টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন থংচাই।
গত ২৩ জুন নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে এক কিশোরের জন্মদিন উদযাপন করতে ১২ সদস্যের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করেছিল। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে পড়লে দলটি আটকা পড়ে যায়।
তাদের উদ্ধারের খবর থাইল্যান্ডের খবরের কাগজগুলোর প্রথম পাতার শিরোনাম হয়েছে। ১৭ দিনের রুদ্ধশ্বাস এ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি ডুবুরিদের প্রশংসা করে অনেকে তাদের ‘জাতীয় বীর’ আখ্যা দিয়েছেন।
বলেছেন,“সব পক্ষের জন্য আমরা ভোজের আয়োজন করব।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শুভেচ্ছা বিনিময় ও অভিনন্দনের ঢল নেমেছে।
থাইল্যান্ডের এই নাটকীয় উদ্ধার অভিযানের সফলতার উল্লাস রাশিয়ার বিশ্বকাপেও অনুরণন তুলেছে। টুইটারে ‘ওয়াইল্ড বোয়ার’দের জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড দলের খেলোয়াড়রা।
যুক্তরাজ্যের ক্লাব ফুটবল দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থাই কিশোর ফুটবল দল ও তাদেরকে উদ্ধারে কাজ করা সবাইকে ‘ওল্ড ট্রাফোর্ডে’ স্টেডিয়ামে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।