কিন্তু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উদ্ধার পাওয়ার পর ওই কিশোরদের এক সপ্তাহ হাসপাতালে রাখতে চান তারা।
ফলে রাশিয়ায় গিয়ে তাদের আর বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখা হচ্ছে না বলে এক খবরে জানিয়েছে বিবিসি।
এ পর্যন্ত গুহায় আটকা পড়া ওই কিশোর ফুটবল দলের আট সদস্যকে বের করে এনেছেন উদ্ধারকারীরা। উদ্ধার করে আনার পর থেকে তাদের হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন না খেয়ে থাকার কারণে তারা শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাছাড়া লম্বা সময় গুহায় আটকে থাকায় তারা বাদুর ও ইঁদুরের কারণে কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে কি না, সেটাও নিশ্চিত হতে চাইছেন চিকিৎসকরা।
এ কারণে তাদের হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
গুহায় থাকা বাকি চার কিশোর ও তাদের ফুটবল কোচকে বের করে আনতে মঙ্গলবার ফের অভিযান শুরু হয়েছে। এই পাঁচজনকে একসঙ্গে বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ফিফা সভাপতি বলছিলেন, মস্কোয় রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে থাই ওই দলের কোচসহ ১৩ জনের জন্য আসন বরাদ্দ থাকবে। তারা সময়মত উদ্ধার পেলে খেলা দেখতে পারবে মাঠে বসে।
গত ২৩ জুন নিয়মিত প্রশিক্ষণ শেষে এক কিশোরের জন্মদিন উদযাপন করতে ১২ সদস্যের ওই কিশোর ফুটবল দল এবং তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ চিয়াং রাই প্রদেশের ‘থাম লুয়াং’ গুহায় প্রবেশ করে।
কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে গুহার ভেতর পানি ঢুকে পড়লে দলটি আটকা পড়ে যায়।
নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিনের মাথায় দুই ব্রিটিশ ডুবুরি ওই কিশোরদের সন্ধান পায়। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে রোববার চারজন এবং সোমবার আরও চারজনকে বের করে আনা সম্ভব হয়।
বিশ্বকাপের উত্তেজনার মধ্যে থাইল্যান্ডে কিশোর ফুটবল দলের গুহায় আটকা পড়ার এই ঘটনা বিশ্ববাসীর মনোযোগ কেড়ে নেয়। এই প্রেক্ষাপটেই ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ওই কিশোরদের জন্য ফাইনালের টিকেট রাখার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ৯টায় মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে।