রোববারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ৯৭ শতাংশ ভোট গণনার পর এরদোয়ান নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তুরস্কের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান সাদি গুভেন, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
তুরস্কের গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফলাফলেও এরদোয়ানের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন দল ইসলামপন্থি একে পার্টি ও এর জোট মিত্ররা পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
তুরস্কের প্রধান বিরোধীদল সিএইচপি তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনে হারার কথা স্বীকার করেনি। শুধু বলেছে, ‘ফলাফল যাই হোক’ তারা তাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। এর আগে তারা বলেছিল, নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডেই জয় পাবেন না এরদোয়ান।
স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার কিছুক্ষণ পরে ক্ষমতাসীন একে পার্টির সদরদপ্তরের বারান্দা থেকে পতাকা দুলিয়ে জয় উদযাপনরত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান বলেন, “আগামীকাল থেকে শুরু করছি, আমাদের জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবো আমরা।”
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ আরও দৃঢ়সংকল্প নিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
৬৪ বছর বয়সী এরদোয়ান আধুনিক তুরস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। শহুরে তরুণদের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
নির্বাচনে এই জয়ের মাধ্যমে আরও পাঁচ বছর তুরস্ক শাসন করার সুযোগ পাবেন তিনি। তুরস্কের নতুন সংবিধান অনুসারে তিনি ২০২৩ সালের পর ফের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পাবেন, তখন জয়ী হলে ২০২৮ পর্যন্ত তিনিই তুরস্কের প্রেসিডেন্ট থাকবেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা এবং দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি সিরিয়া ও ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের দমনে জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন লাভের প্রত্যাশায় নির্বাচন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৬ মাস এগিয়ে এনেছিলেন তিনি। নির্বাচনে কাঙ্খিত জয় পাওয়ায় এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি দ্রুতই এগিয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।