গত বৃহস্পতিবার অকল্যান্ড সিটি হাসপাতালে নিজের প্রথম সন্তানের জন্ম দেন আর্ডেন।
রোববার তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন। তিনদিন বয়সের কন্যাকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ার সময় তাকে সমর্থন দেওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, “আমরা শুধু আপনাদের ধন্যবাদ বলতে চাই। সব কিছু সত্যিই খুব চমৎকার ভাবে চলছে।(সে) বিরামহীনভাবে ঘুমাচ্ছে, তবে সব কিছু ঠিকঠাক আছে।”
এ সময় আর্ডেনের পাশে তার জীবনসঙ্গী টেলিভিশন উপস্থাপক ক্লার্ক গেফোর্ডও ছিলেন।
মেয়ের জন্মের পরপরই আর্ডেন ও গেফোর্ড দম্পতি সন্তানের প্রথম নাম ‘নেভে’ রাখবেন বলে ঠিক করেন।
নেভে শব্দের অর্থ ‘উজ্জ্বল ও দীপ্তমান’, নেভের আরেকটি প্রতিশব্দ ‘বরফ’।
আর্ডেন বলেন, মেয়ের নাম ‘নেভে’ রাখার মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চান তার জন্ম শীতের মাঝামাঝিতে। যখন পুরো জাতি ‘মাওরি’ নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নামের দ্বিতীয় অংশ ‘তে আরোহা’। যার অর্থ, ভালোবাসা। নিউ জিল্যান্ডের জাতীয় ভাষার একটি ‘তে রেও মাওরি’।
আর্ডেন দেশটির ইতিহাসের প্রথম নারী, যিনি প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থাতেই সন্তানের জন্ম দিলেন।
৩৭ বছরের আর্ডেনই নিউ জিল্যান্ডের সবচেয়ে কমবয়সের প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ নির্বাচনে তার দল লেবার পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ছোট দল ফার্স্ট পার্টির নেতা উইনস্টন পিটার্সের সমর্থন নিয়ে গত অক্টোবরে নতুন সরকার গঠন করেন নিউ জিল্যান্ডের তৃতীয় এ নারী প্রধানমন্ত্রী।
আর্ডেন যে ছয় সপ্তাহ মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকবেন, উপ-প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স সে সময়টাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে আগেই জানানো হয়েছিল।