ইথিওপিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত ১

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এক রাজনৈতিক সমাবেশে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই গ্রেনেড হামলা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2018, 10:42 AM
Updated : 23 June 2018, 02:04 PM

শনিবার রাজধানীর মেস্কেল স্কয়ারের ওই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আবির ভাষণ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট পরই একটি গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স, বিবিসির।

প্রধানমন্ত্রী যেখানে ছিলেন, সেই মঞ্চ লক্ষ্য করে কেউ একজন গ্রেনেডটি নিক্ষেপের চেষ্টা করেছিল বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন জনসভা প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সৈয়ম টেশোমে।

বিস্ফোরণের পর তাৎক্ষণিকভাবে তড়িঘড়ি করে আবিকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।

ওই গ্রেনেড বিস্ফোরণে অন্তত এক জন নিহত ও ১৫৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমির আমান। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।  

বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আবি বলেছিলেন, “কয়েকজন ইথিওপীয় আহত হয়েছেন। কয়েকজন প্রাণও হারিয়েছেন। ইথিওপিয়ার ঐক্য চায় না, এমন শক্তিগুলো ব্যর্থ এ হামলা চালিয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী আবির প্রতি সমর্থন জানাতে হাজার হাজার লোক ওই সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিল। ছবি: রয়টার্স

সবুজ রংয়ের যে টি-শার্টটি পরে জনসভায় গিয়েছিলেন আবি, টেলিভিশন ভাষণের সময়ও তাই পরেছিলেন।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গ্রেনেড বিস্ফোরণের আগে হামলাকারীর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছিল। 

কয়েক বছর ধরে চলা সরকার বিরোধী ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইথিওপিয়া। প্রতিবাদ কখনো কখনো প্রাণঘাতী সহিংসতার রূপও নিয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ধারাবাহিক প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে আগের প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম দেশালেগেন অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রী হন আবি। তিনি অরোমো নৃগোষ্ঠী থেকে আসা ইথিওপিয়ার প্রথম নেতা।

এই গোষ্ঠীটিই প্রায় তিন বছর ধরে চলা সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্রে ছিল। প্রায়ই সহিংস রূপ নেয়া ওই প্রতিবাদ বিক্ষোভে কয়েকশত লোকের মৃত্যু হয়েছিল।