অগাস্টে যুদ্ধবিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর পুনর্মিলনে রাজি দুই কোরিয়া

ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে কোরীয় যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর সদস্যদের পুনর্মিলন  করাতে রাজি হয়েছে দুই কোরিয়া। ঠিক করা হয়েছে দিনক্ষণও।

>>রয়টার্স
Published : 22 June 2018, 06:10 PM
Updated : 22 June 2018, 06:26 PM

বিষয়টি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পর্যটন কেন্দ্র মাউন্ট কুমগাংগে শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার আলোচনার পর এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এ পুনর্মিলনী হবে ২০ অগাস্ট থেকে ২৬ অগাস্ট পর্যন্ত। দুই কোরিয়া থেকে ১০০ জনকে বাছাই করে পুনর্মিলনের সুযোগ দেওয়া হবে।”

২০১৫ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ দুই কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন কিছু পরিবারের সদস্যদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। এরপর দুই কোরিয়ার বরফ গলা উষ্ণ সম্পর্কের মধ্যে অগাস্টেই প্রথম এ পুনর্মিলনী হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন ও উত্তরের শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে হওয়া দুই দফা বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করতে আলোচনার পরিকল্পনা হয় এবং এর পথ ধরেই এ সাফল্য এল।

পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও পারমাণবিক পরীক্ষার সূত্র ধরে দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছালে পুনর্মিলনীর আয়োজনগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিককে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে। ওই ধারাবাহিকতায় এপ্রিলের মুন-কিম শীর্ষ সম্মেলনে পুনর্মিলনীর জন্য অগাস্টের একদিন দুই কোরিয়াতেই সাধারণ ছুটিরও পরিকল্পনা হয়।

যুদ্ধের সময় বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর অনেক সদস্যের বয়স ৮০ পেরিয়ে যাওয়ায় তাদের পুনর্মিলনীকে ‘মানবিক কাজ ও মানব অধিকার’ হিসেবে দেখে আসছে দক্ষিণ কোরিয়া।

বিচ্ছিন্ন পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্স ও ডাক যোগাযোগ পুনরায় শুরুরও প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।