ভেনেজুয়েলায় নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চলেছে: জাতিসংঘ

ভেনেজুয়েলার নিরাপত্তা বাহিনী অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অজুহাতে নির্বিচারে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2018, 02:30 PM
Updated : 22 June 2018, 02:30 PM

শুক্রবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ বলেছে, গরিব মানুষদের ঘরবাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর হানা এবং তরুণদেরকে হত্যার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ আছে।

দেশটিতে ’আইনের শাসন প্রায় নেই বললেই চলে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেঈদ রাদ আল হুসেইন।

ভেনেজুয়েলা অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

দেশটি দীর্ঘদিন থেকেই রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত। গত বছর সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী নিহত হয়।

তাছাড়া, দেশটি চরম মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য সংকটের মধ্য দিয়েও যাচ্ছে।

বিরোধীদল ভোট বয়কট করার পর প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মে মাসে পুননির্বাচিত হন।

জাতিসংঘ বলছে, বিনাবিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলেন ‘অপারেশনস ফর লিবারেশন অব দ্য পিপল’ নামক অপরাধ দমন অভিযানে নিয়োজিত কর্মকর্তারা।

ওই কর্মকর্তারা ২০১৫ সালের জুলাই এবং ২০১৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৫শ’র বেশি মানুষকে হত্যা করেছে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

নির্বিচারে এতগুলো মানুষকে হত্যার পর তারা এদেরকে গুলিবিনিময়ের সময় নিহত বলে চালিয়ে দিয়েছে।

হত্যাকাণ্ড চালানো কর্মকর্তাদের বিচার থেকে আইনি অব্যাহতি আছে এবং তাদের কর্মকান্ডের কোনো জবাবদিহিও করা হয়নি।

জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেঈদ রাদ আল হুসেইন বিষয়টির আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হস্তক্ষেপেরও পরামর্শ দিয়েছেন।

বিবিসি জানায়, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বর্তমান সদস্য ভেনেজুয়েলায় জাতিসংঘ তদন্তকারীদের প্রবেশাধিকার। ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে তারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন।

আর অন্যান্য তথ্যপ্রমাণগুলো পাওয়া গেছে দেশটির সাবেক এটর্নি জেনারেল লুইসা ওর্তেগার কাছ থেকে। প্রেসিডেন্ট মাদুরো গত বছর ওর্তেগাকে বরখাস্ত করার পর তিনি নির্বাসনে চলে যান।