বুধবার এসব দেহাবশেষ ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে মিনেসোটার ডুলুশে এক জনসভায় উপস্থিত সমর্থকদের জানিয়েছেন তিনি, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ট্রাম্প একথা জানালেও দেশটির সামরিক কর্তৃপক্ষ দাপ্তরিকভাবে এ সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেছেন, “আমাদের নিহত মহান বীরদের ফিরে পেয়েছি আমরা, আজ তাদের অবশেষ ফেরত পাঠানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই ফেরত পাঠানো ২০০ জনকে পেয়েছি।”
মঙ্গলবার নাম না প্রকাশ করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, আসছে দিনগুলোতে উত্তর কোরিয়া দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতিসংঘ কমান্ডের কাছে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক’ দেহবশেষ হস্তান্তর করবে, এরপর সেগুলো হাওয়াইয়ের হাইকাম বিমান ঘাঁটিতে পাঠানো হবে।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। ওই বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছিলেন, কোরীয় যুদ্ধে নিহত মার্কিন সৈন্যদের দেহাবশেষ ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন কিম।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তথ্যানুযায়ী, ১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাত হাজার ৭০০ সেনা নিখোঁজ হয়েছিল।
পেন্টাগনের তথ্যানুযায়ী, অতীতে উত্তর কোরিয়ার কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাদের কাছে প্রায় ২০০ জন মার্কিন সেনার দেহাবশেষ আছে।
ওই যুদ্ধে ৩৬ হাজার ৫০০ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল।