রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান এ ধর্মগুরু বলেন, “লোকরঞ্জনবাদ দিয়ে বিশ্বের অভিবাসী সমস্যার সমাধান আসতে পারে না।”
মার্কিন ক্যাথলিক বিশপরা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে শিশুদেরকে তাদের বাবা-মায়েদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলাটা নিজেদের ‘ক্যাথলিক মূল্যবোধের বিপরীত’ এবং ‘অনৈতিক’ বলে বিবৃতি দিয়েছেন। পোপ রয়টার্সকে বলেন, তিনি এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত।
ভ্যাটিক্যানের বাসভবনে রয়টার্সের সঙ্গে বিস্তারিত এক বিরল সাক্ষাৎকারে পোপ একথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি বুধবার বিশ্ব শরণার্থী দিবসে প্রচার করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসন মে মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা যে কোনো ব্যক্তিকেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত জানান বলে খবর প্রকাশ করেছিল সিএনএন। তার এ সিদ্ধান্তের ফলে যে সমস্যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ব্যক্তি সন্তান নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকলে তাকে যখন ধরে বিচারের জন্য নেওয়া হবে তখন তার সন্তান তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের এ ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতির কারণে গত ছয় সপ্তাহে অন্তত দুই হাজার পরিবারের শিশুরা বাবা-মা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ডিটেনশন সেন্টারে থাকতে বাধ্য হচ্ছে।
সীমান্ত এলাকা থেকে এ সপ্তাহে দুর্দশাগ্রস্ত এ শিশুদের অডিও ও ভিডিও টেপ প্রচার হওয়ার পর ট্রাম্পের নীতির তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ওই শিশুদের অন্ধকার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান এবং সাবেক দুই ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ও লরা বুশও ট্রাম্পের কঠোর নীতির সমালোচনা করেছেন।
এবার পোপ ফ্রান্সিও এ নীতির সমালোচনা করলেন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া নিয়েও পোপ সমালোচনা করেন।
তবে তার বক্তব্যের একটি বড় অংশ জুড়েই ছিল ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিষয়টি। দ্বারে এসে পৌঁছানো মানুষদের ফিরিয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।