সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রবর্তী দলকে নেতৃত্ব দেওয়া হাগিন ৬ জুলাই পদ থেকে সরে যাচ্ছেন বলে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা।
সরকারি দায়িত্ব ছেড়ে ঝানু এ রিপাবলিকান রাজনীতিক ফের ব্যক্তিখাত সংশ্লিষ্ট কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে জো হাগিনকে ‘আমার প্রশাসনের অত্যন্ত মূল্যবান এক সম্পদ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
“দীর্ঘতম এবং কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের করা সবচেয়ে বেশি ঐতিহাসিক বিদেশ সফরের পরিকল্পনা ও সেগুলোর বাস্তবায়ন করেছিলেন তিনি। সবই তিনি করেছিলেন সুনিপুণভাবে। দায়িত্বে থাকার সময়, এমনকী চলার পথেও তার অভাব অনুভূত হবে,” বলেছেন ট্রাম্প।
৬২ বছর বয়সী হাগিন এর আগে রোনাল্ড রিগ্যান, বুশ সিনিয়র ও বুশ জুনিয়রের মতো রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের প্রশাসনেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের উপদেষ্টাদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে অভিজ্ঞ।
হাগিন অবশ্য কয়েক মাস আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলিই তাকে জোর করে দায়িত্বে রাখেন বলেও দাবি তার।
সপ্তাহখানেক আগে সিঙ্গাপুরের সেনতোসা দ্বীপে ট্রাম্প-কিম মুখোমুখি বৈঠকের আগে হাগিন বৈঠকের খুঁটিনাটি সবকিছু নিয়ে উত্তর কোরীয় আলোচকদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকও করেছিলেন।
সৌদি আরবে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর এবং বছরখানেক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ইসরায়েল, বেলজিয়াম ও ইতালি সফরও সার্বিক পরিকল্পনা করেছিলেন হোয়াইট হাউসের এ ডেপুটি চিফ অব স্টাফ।
“অতুলনীয় প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে এসেছিলেন জো হাগিন। আমরা সবাই তার অভাব ভীষণভাবে অনুভব করবো,” বলেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স।