সরকারি থিঙ্ক-ট্যাংক ‘নীতি আয়োগ’ এর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরেই পানির এ সংকট চলছে এবং ‘পরিস্থিতি দিন দিন শুধু খারাপের দিকেই যাচ্ছে।”
দেশটির ৩০টি রাজ্যের মধ্যে ২৪টিতে জরিপ চালিয়ে সরকারি এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয় বলে জানায় বিবিসি।
প্রতিবেদনে সর্তক করে বলা হয়, আগামী ২০২০ সাল নাগাদ অন্তত ২১টি নগরীর ভূগর্ভস্থ পানিও শেষ হয়ে যাবে।
ভারতে কৃষিকাজে পানির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, যা মোট ব্যবহারের প্রায় ৮০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে পানি সংকটের কারণে কৃষিকাজ ব্যাহত হওয়ায় চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার আশঙ্কাও করা হয়েছে।
প্রতিবছর ভারতে প্রায় দুই লাখ মানুষ পরিষ্কার পানি অভাবে বিভিন্ন রোগে ভুগে মারা যায় বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ভারতে নগর ও শহরের বিকাশ যেভাবে হচ্ছে তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটিতে পানির চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
এ অবস্থায় দেশটির কয়েকটি রাজ্যের সরকার ‘পানি ব্যবস্থাপনার’ দিকে মনোযোগী হয়েছে।
পশ্চিমের রাজ্য গুজরাট এই তালিকায় শীর্ষে আছে বলেও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। মধ্যপ্রদেশ এবং অরুণাচল সরকারও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
তবে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। অথচ, এই রাজ্যগুলোতেই দেশটির প্রায় অর্ধেক মানুষ বাস করে এবং অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভরশীল।
তবে এই প্রতিবেদনে আবাসিক কাজে বা শিল্পে পানির ব্যবহার এবং কিভাবে তা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে সে সম্পর্কে তথ্য নেই।