ইরানের আইন অনুযায়ী, নারীদের মাথা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। ভারতের নারী গ্র্যান্ডমাস্টার ২৯ বছরের সৌম্যা বলেন, ওই আইন তার ব্যক্তিগত অধিকারের লঙ্ঘন।
ফেইসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার অধিকার রাক্ষার একমাত্র পথ হচ্ছে ইরানে না যাওয়া।”
সৌম্যার এই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
আগামী মাসে ইরানে এশিয়ান নেশনস কাপ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ভারতের নারী দাবাড়ুদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে আছেন সৌম্যা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, প্রতিযোগিতাটি আসলে বাংলাদেশে হবে বলে ভেবেছিলাম।
“কিন্তু পরে নতুন তারিখ এবং নতুন আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করা হয়, আমি সরে দাঁড়াচ্ছি।”
নিজের ফেইসবুক পোস্টে সৌম্যা আরো লেখেন, “খেলোয়াড়রা প্রায় সময়ই খেলার কথা ভেবে অনেক কিছুর সঙ্গেই মানিয়ে নেয়। কিন্তু জোর করে ধর্মীয় পোশাক পরিধানে বাধ্য করা নিশ্চয়ই মেনে নেওয়া মত কোনো বিষয় হতে পারে না, এটিও মনে রাখতে হবে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই সৌম্যার এ অবস্থানের প্রশংসা করে তার পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন।
একই কারণে ভারতীয় খেলোয়াড়দের কোনো টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া নতুন ঘটনা নয়।
এর আগে ২০১৬ সালে ভারতের নামী শ্যুটারদের একজন হিনা সিন্ধু একই কারণে ইরানে আয়োজিত একটি টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
ওই বছরই ইরানের আয়োজিত উইমেন্স ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সরে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দাবাড়ু নাজি পিকিডজে।
ইন্সটাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘যেদেশে নারীদের মৌলিক মানবিক অধিকারই নেই’ সেদেশে এরকম একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন ‘অগ্রহণযোগ্য’।