সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন নজিরবিহীন এক সম্মেলন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কোনো শীর্ষ নেতার এটিই প্রথম সম্মেলন। অথচ, কয়েকমাস আগেও দুই নেতা পরস্পরকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন।
কোরীয় উপদ্বীপ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এ সম্মেলন শুরু হয়েছিল। সম্মেলনে ট্রাম্প যে কোনো উপায়ে কিমের কাছ থেকে সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রতিশ্রুতি আদায় করার চেষ্টা করবেন, বিশেষজ্ঞাদের পূর্বাভাস এমনই ছিল।
তবে পুরনো মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের সবচেয়ে বড় ‘চমক’ দিয়েছেন ট্রাম্প।
সম্মেলনের পর দুই নেতা এক যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন।
ট্রাম্প ও কিম সম্মেলনে অংশ নিতে যখন সানতোসার অভিজাত কাপেলা হোটেলে পৌঁছান, তখন দুই নেতাকেই সতর্ক এবং গুরুগম্ভীর মনে হচ্ছিল।
‘বডি ল্যাঙ্গুয়েজ’ বিশেষজ্ঞদের মতে, শুরুতে দুই নেতাই অতীতের মত পরস্পরের উপর কর্তৃত্বের ভাব দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। যদিও একই সঙ্গে দুজনকেই ‘নার্ভাস’ দেখাচ্ছিল।
তারপর ট্রাম্প গোপন বৈঠকের জন্য কিমকে হোটেলের একটি গ্রন্থাগারের দিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে শুধুমাত্র তাদের দোভাষীরা ছিলেন।
উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া ‘খুব খুব দ্রুত শুরু করবে’বলেও সংবাদ সম্মেলনে আশা ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।
কোরীয় উপদ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া বন্ধের ঘোষণা দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের জন্য কিছুটা দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ওই অঞ্চলের মিত্র দুই দেশকে যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই নিরাপত্তা দিয়ে এসেছে।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরবর্তী আলোচনা ‘যেভাবে এগুনো উচিত যদি আলোচনার অগ্রগতি সেভাবেই হয় তবে সামরিক মহড়া আর হবে না,’ বলেছেন তিনি।
সম্মেলন শেষে কিম বলেন, “আমরা একটি ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছি এবং অতীতকে পেছনে ফেলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এই বৈঠক হওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এ সংক্রান্ত আরও খবর