সিঙ্গাপুরে সানতোসা দ্বীপে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকের পর বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং বলেন, উত্তর কোরিয়ার উপর আরোপ করা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞাগুলো এমনভাবে তৈরি যে দেশটির কার্যক্রমের পরিবর্তন হলে সে অনুযায়ী ওই নিষেধাজ্ঞা সমন্বয়, স্থগিত বা তুলে নেওয়া যাবে।
ট্রাম্প-কিম যৌথ ঘোষণাপত্রে প্রধান তিনটি পয়েন্ট হল:
>যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে (ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া) শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের জনগণের আকাঙ্খানুযায়ী সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘নতুন ইউএস-ডিপিআরকে সম্পর্ক’ স্থাপনে প্রতিশ্রুতিব্ধ থাকবে। ওদিকে, উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
>কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে যৌথ উদ্যোগ নেবে।
> চলতি বছরের ২৭ এপ্রিলের পানমুনজম ঘোষণা পুনর্নিশ্চিত করে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করতে ডিপিআরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।
জেং শুয়াং বলেন, “নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়নি। তবে বর্তমানে আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিকভাবে সংকট সমাধানের যে চেষ্টা চলছে, নিরাপত্তা পরিষদের সে উদ্যোগে সমর্থন দেওয়া উচিত বলে আমাদের বিশ্বাস।”